গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সুনীল মালাকার বলেন, আমরা ৪০ বছর ধরে প্রতিমার জন্য শোলার অলঙ্কার তৈরি করে আসছি। প্রতিবার পুজোর আগে আমাদের কাজের চাপ অনেক বেড়ে যায়। বাড়তি সময় কাজ করেও দেবদেবীর মূর্তিকে নতুন নতুন ডিজাইনের অলঙ্কার দিয়ে সাজাতে পারলে মনে তৃপ্তি আসে। শোলা গাছের কাণ্ডগুলি আমরা ইটাহার, মালদহের বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়ে আসি। মূর্তি তৈরির অনেক আগে থেকেই আমাদের অলঙ্কার তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়। প্রতিবছর নতুন নতুন ডিজাইনের কাজ আমরা করে থাকি। মায়াদেবী বলেন, স্বামীর সঙ্গে যতটা সম্ভব সময় আমি এই কাজ করে থাকি। এক সময় আমাদের বাড়ির অন্যান্য ছেলেমেয়েরাও এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। কিন্তু মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় এবং ছেলে অন্য কাজে যুক্ত হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে আমরা স্বামী-স্ত্রী এই কাজ করি। প্রায় সারা বছরই আমাদের কাজ থাকে। তবে পুজোর সময়ে চাহিদা অনেক বেশি বেড়ে যায়।
আগমনীর দিন ক্রমশ এগিয়ে আসছে। উৎসব প্রিয় বাঙালি মনে তাই আনন্দের উচ্ছ্বাস। শুধুমাত্র প্রতিমা নির্মাণ মণ্ডপসজ্জা নয় শারদীয়ার অন্যতম আকর্ষণ দেবীর অলঙ্কার। তাই এখন মালাকার শিল্পীদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। দেবীকে অলঙ্কারে সাজিয়ে তুলতে তাঁরা দিনরাত কাজ করে চলেছেন। জমকালো সাজে দেবীর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় বহুগুণ। এক্ষেত্রে কালিয়াগঞ্জের মালাকার দম্পতির নাম বেশ কয়েক বছর ধরেই শিরোনামে রয়েছে। তাঁদের হাতে তৈরি শোলার অলঙ্কার প্রতিমার সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দেয়। নতুন নতুন ডিজাইনে তৈরি করা হয় অলঙ্কার। ডিজাইনের উপরে দাম নির্ধারিত হয়। ৫০০০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে এগুলি বিক্রি হয়। তবে শুধু অর্থ উপার্জন নয় এই কাজ করে তৃপ্তি পান মালাকার দম্পতি।