কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুরাতন মালদহের নারায়ণপুরের ঢাকি পাণ্ডব রবিদাস বলেন, পুজোর সময়ে একটু বাড়তি রোজগারের আশায় প্রতিবারই বাইরে চলে যাই। গত বছর দিল্লি গিয়েছিলাম। এবছরও ডাক পেয়েছি। এখানে ঢাক বাজিয়ে যা উপার্জন হয় বাইরে গেলে তার কয়েক গুণ বেশি পারিশ্রমিক মেলে। তাছাড়া বাইরে ঢাকিদের সম্মান, কদরও বেশি। পুজোর আর দেরি। নেই তাই এখন থেকেই বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি।
বামনগোলা ব্লকের ঢাকি অজয় মণ্ডল বলেন, বর্তমানে ডিজে ও অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রের জন্য ঢাকের কদর কমে গিয়েছে। আগে পুজোর সময় পুজো প্যান্ডেলগুলিতে অনেক ঢাকি ঢাক বাজাত। এখন উদ্যোক্তারা বাজেটে কাটছাঁট করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে। পারিশ্রমিক খুব কম মেলে। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই আমাদের এখন বাইরে ঢাক বাজাতে যেতে হয়। গতবার শিলিগুড়ির একটি পুজো প্যান্ডেলে ঢাক বাজিয়েছি। বাপ-ঠাকুরদা’র পর আমরা এই পেশায় ঝুঁকলেও আমাদের বর্তমান প্রজন্ম আর এই পেশায় আসতে চাইছে না। তবে বনেদি বাড়ির পুজোগুলিতে এখনও ঢাক বাজানোর ডাক মেলে। বছরের অন্যান্য সময় না হলেও পুজোর দিনগুলিতে আমাদের একটু কদর বাড়ে।
হরিশ্চন্দ্রপুরের ঢাকি নিবারণ রবিদাস বলেন, ইতিমধ্যে বাইরের জেলার পুজো উদ্যোক্তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। আমি বেশ কয়েক বছর ধরে জলপাইগুড়ির একটি ক্লাবের পুজোয় ঢাক বাজিয়ে আসছি। এবছরও সেখানেই যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। উদ্যোক্তাদের ফোনের আশায় রয়েছি। এখানে পুজোর দিনগুলিতে ঢাক বাজিয়ে খুব বেশি হলে তিন থেকে চার হাজার টাকা মেলে। কিন্তু বাইরের জেলায় ১০-১২ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পাওয়া যায়। তার উপর বকশিশও মেলে। অনেক পুজো কমিটি থেকে আবার নতুন পোশাকও দেওয়া হয়। পুজোর দিন কয়েক আগে আমরা এখান থেকে বেরিয়ে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনে পৌঁছই। সেখান থেকেই পরে বাস ও ট্রেনে চেপে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে চলে যাই। গত কয়েক বছর থেকে ভিনরাজ্যেও মালদহের ঢাকিরা ডাক পেয়েছেন।