গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বিজেপির কোচবিহার জেলার সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, নয়ারহাটে এর আগেও পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের লোকজন সন্ত্রাস করার চেষ্টা করেছিল। এদিন টোটো, অটো দেদার ভাঙচুর করা হয়েছে। ওরা দোকানেও ভাঙচুর করেছে। সেসময়ে বাজারে থাকা আমাদের দু’জন কর্মীকে মারধর করে। তাঁরা এখন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তৃণমূল কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে এদিন তার দৃষ্টান্ত রাখল। পুলিস ভ্যানে ভাঙচুর, কর্মীদের মারধর, রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া এসবের তদন্ত হওয়া দরকার।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিধায়ক হিতেন বর্মন বলেন, নয়ারহাটে এদিন পুলিসের অনুমতি নিয়েই আমাদের মিছিল ছিল। কিন্তু পুলিস মিছিল আটকে দেয়। এটা নিয়েই ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। পুলিস আমাদের কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করেছে। এতে আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী জখম হন। তবে পুলিসের গাড়ি ভাঙচুর, তাদের উপর হামলার ঘটনার ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। এলাকায় বিজেপি সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। তাতে সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে আছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, নয়ারহাটের ঘটনা একেবারেই অবাঞ্ছিত। আমি বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে দেখছি।
মাথাভাঙা থানার আইসি প্রদীপ সরকার বলেন, এদিন আমাদের কর্মীদের উপর হামলা হয়েছে। এতে আটজন কর্মী জখম হন। তিনটি ভ্যানেও ভাঙচুর করা হয়েছে। আমাদের এক কর্মীর রাইফেল ছিনতাই হয়েছে। সবটাই ওপর মহলে জানিয়েছি।
দু’সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মাথাভাঙার নয়ারহাট উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। এর আগে নয়ারহাটে তৃণমূলের মিছিলের প্রস্তুতি ঘিরে অশান্তি ছড়িয়েছিল। বিজেপির বাধায় সেদিন তৃণমূল মিছিল করতে পারেনি। সেসময়েও পুলিসের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল। এদিন তৃণমূল ফের নয়ারহাটে মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষ এড়াতে সকাল থেকে মাথাভাঙার এসডিপিও এবং আইসি’র নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী বাজার চত্বরে থাকে। সকাল ১১টা থেকে তৃণমূলের লোকজন নয়ারহাট বাজারে জমায়েত হতে থাকে। বিজেপিও পাল্টা জমায়েত শুরু করতেই পুলিস তাদের সরিয়ে দেয়। ১২টায় তৃণমূল মিছিল নিয়ে বাজারে দিকে এগয়। পুলিসের দাবি, তৃণমূলের ওই মিছিলটি সশস্ত্র ছিল। পুলিস কর্মীরা মিছিল আটকাতে বাজার চৌপথিতে যায়। অভিযোগ, তখনই মিছিলকারীরা পুলিসের উপর চড়াও হয়। পুলিসকে লক্ষ্য করে চলে দেদার বোমা। রড, বাঁশ দিয়ে কয়েকজন পুলিস কর্মীকে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয়। এক পুলিশ কর্মীর হাত ভেঙে যায়। অভিযোগ, একজনের রাইফেল ছিনতাই করা হয়েছে। চৌপথিতে থাকা এসডিপিও এবং আইসি’র গাড়ি সহ তিনটি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। গাড়িগুলির সামনের চাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারায় হাওয়া বেরিয়ে যায়। পুলিস জানিয়েছে, মিছিলকারীদের কাছ থেকে তীর-ধনুক, ধারালো রামদা, ডজন খানেক হাতবোমা উদ্ধার হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। অভিযুক্তদের সন্ধানে পুলিস রাতে এলাকায় তল্লাশি চালায়।