পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাস যাত্রীরা বলেন, পুজোর মুখে বাড়তি সরকারি বাস চালানো হলে সকলেরই সুবিধা হবে। পুজোর অনেক আগে থেকেই ট্রেনের টিকিট বুকিং হয়ে যায়। ফলে পুজোর দিনগুলিতে সংরক্ষিত কামরার আর টিকিট মেলে না। সেই সময় যাত্রীদের বাসের উপরই নির্ভর করতে হয়। কর্মসূত্রে কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির অনেকে মালদহে থাকেন। পুজোর ছুটিতে সকলেই বাড়ি ফিরতে চায়। কিন্তু ট্রেনের টিকিট না মেলায় ও ওই সময় দূরপাল্লার বাসগুলিতে যাত্রীর চাপ বাড়ায় অনেকেই ইচ্ছে থাকলেও পুজোর দিনগুলিতে পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারেন না। কিন্তু বাড়তি বাস চললে সেই সমস্যারও কিছুটা সমাধান হবে। তাছাড়া পুজোর সময় যাত্রীদের চাপ বাড়ায় দূরপাল্লার বেসরকারি বাসগুলিও বেশি ভাড়া নেয়। সরকারি বাস চললে যাত্রীদের আর বেশি ভাড়া গুনতে হবে না। এছাড়া বাড়তি বাস চললে জেলার অনেক বাসিন্দা দক্ষিণবঙ্গেও পুজো দেখতে যেতে পারবেন।
মালদহ ডিপো সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে মালদহ-কলকাতা রুটে এনবিএসটিসি’র চারটি বাস রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি দিনে ও একটি রাতে চলে। তবে মালদহ-বনগাঁ রুটেও বাস পরিষেবা রয়েছে। কিন্তু পুজোর মুখে যাত্রীদের সুবিধার্থে মালদহ-কলকাতা রুটে আরও তিনটি বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মালদহ-শিলিগুড়ি, মালদহ-রায়গঞ্জ ও আরও কয়েকটি রুটে বাড়তি বাসের ব্যবস্থা থাকছে। এই সময় দূরপাল্লার রুটে যাত্রী বেশি থাকে ফলে বাসগুলি চললে এনবিএসটিসি’রও বাড়তি কিছু আয় বাড়বে।
এনবিএসটিসি’র মালদহ ডিপো ইনচার্জ উত্তম মজুমদার বলেন, পুজোয় চতুর্থী থেকে সপ্তমী পর্যন্ত কয়েকটি রুটে বাড়তি কিছু বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে যাত্রীদের চাহিদা থাকলেই বাসগুলি চালানো হবে। শীঘ্রই বাসগুলির সময়সূচি ঠিক করা হবে। মালদহ-কলকাতা রুটে তিনটি অতিরিক্ত বাস চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়ায় আরও বেশ কয়েকটি রুটে দু’একটি করে অতিরিক্ত বাস চলবে।