গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ উত্তরবঙ্গে ২০১৪ সাল থেকে কাজ করছে এনডিআরএফ। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত এখানে তাদের কোনও সেন্টার ছিল না। তাবু খাটিয়ে তারা এখানে থাকত। কখনও কখনও জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য তাদের কলকাতা থেকে এখানে আসতে হত। এবার তাদের জন্য স্থায়ী কার্যালয় তৈরি করা হয়েছে শিলিগুড়ির মাটিতে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটিগাড়া ব্লকের পরিবহণ নগরে প্রায় এক একরেরও বেশি জমিতে এনডিআরএফের রিজিওনাল রেসপন্স সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। ২০১৬ সালে এই সেন্টারের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রায় তিন কোটি টাকা খরচ করে ইতিমধ্যে চারতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এই ভবনে সিগন্যাল রুম, ক্যান্টিন, ট্রেনিং হল, কমান্ডেন্ট, ডেপুটি কমান্ডেন্ট সহ বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসারদের থাকার কোয়ার্টার, কর্মীদের জন্য ব্যারাক ইত্যাদি রয়েছে।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট ভবনে রয়েছে আধুনিক সরঞ্জাম। এনডিআরএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সেন্টারে দেড়শো জন কর্মী থাকবেন। বর্তমানে প্রায় ১২৫ জন কর্মী রয়েছেন। এখানে উদ্ধারকারী দলের সংখ্যা তিন। প্রতিটি দলে দু’জন করে মোট ছ’জন ডুবুরি রয়েছেন। এছাড়া, ডুবুরিদের পোশাক, ১১টি রাবার বোট, একটি ভিকটিম লোকেটিং ক্যামেরা, স্যাটেলাইট ফোন, যানবাহন সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম রয়েছে। বিপর্যয়ের পর ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে কোনও বাসিন্দা আটকে রয়েছেন কীনা তা জানতেই ভিকটিম লোকেটিং ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। গত বছর দার্জিলিংয়ে একটি দুর্যোগের ঘটনায় সেই ক্যামেরা ব্যবহার করে সাফল্য মিলেছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে, জলের তলায় তল্লাশি চালানোর জন্য আধুনিক সরঞ্জাম এখানে নেই। সেন্টারের এক অফিসার বলেন, বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানো হয়েছে। শীঘ্রই সেই সরঞ্জাম এখানে আনা হবে বলে আশা করছি।
রাজ্যের প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলির মধ্যে উত্তরবঙ্গ অন্যতম। ফি বছরই বর্ষায় নদীবেষ্টিত উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ধসের জেরে দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের বিভিন্ন এলাকা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। অনেক সময়ই পাহাড়ি রাস্তা থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যানবাহন নদীতে পড়ে যায়। সেইসব ঘটনার পর উদ্ধারকার্য চালাতে ব্যাপক সমস্যা হয়। এনডিআরএফের অফিসারদের একাংশ বলেন, কয়েক বছর আগে কলকাতায় রিজিওনাল রেসপন্স সেন্টার খোলা হয়েছিল। এবার দ্বিতীয় সেন্টারটি খোলা হল শিলিগুড়িতে। এর ফলে উত্তরবঙ্গবাসীর সুবিধা হবে।