পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্কুলের এক প্রাক্তন ছাত্রী বলেন, ওই শিক্ষক আমাকে ২০১৫ সালে ক্লাসে যৌন হেনস্তা করেছিলেন। আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। তারপরেও আমাকে রাতে বারবার অশ্লীল মেসেজ পাঠাতেন। আমি বিষয়টি নিয়ে সরাসরি তাঁর বাড়িতে গিয়ে ওনার স্ত্রীকে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। তারপরেও একই কাজ করেছেন শুনতে পেরে এদিন আমি এই আন্দোলনে শামিল হয়েছি। স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী বলে, আমাদের স্কুলের একাধিক মেয়েকে ওই শিক্ষক শ্লীলতাহানি করেছেন। আমরা এর আগেও বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষককে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। কিন্তু তিনি কোনও পদক্ষেপ করেননি। আমরা ওই শিক্ষককে বহিষ্কারের পাশাপাশি দৃষ্টন্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। না হলে আমরা স্কুল বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলনে নামব।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল দত্ত বলেন, আগে আমাদের কাছে এমন কোনও অভিযোগ আসেনি। এদিন একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করব। ওই শিক্ষক দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন ওই শিক্ষক স্কুলে আসেননি। অভিযুক্ত শিক্ষককে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বাবা অসুস্থ। এই মুহূর্তে আমি কোনও মন্তব্য করব না।
ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই ওই শিক্ষক নানা সময়ে স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে অশ্লীল মেসেজ পাঠান। এছাড়াও প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রীদের অনেককেই একা পেয়ে শ্লীলতাহানি করেছেন। গত শুক্রবারও স্কুলের এক ছাত্রীকে ফের তিনি অশ্লীল মেসেজ করেন। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার সিদ্ধান্ত নেন প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা। প্রাক্তন ছাত্রীদের অভিযোগ, এর আগেও যৌন হেনস্তার বিষয়ে শিক্ষকের বাড়িতে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও একই কাজ করে চলেছেন ওই শিক্ষক। এদিন সকালে স্কুল খুলতেই ছাত্রছাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। প্রধান শিক্ষকের ঘরে গিয়ে ছাত্রছাত্রীরা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। প্রাক্তন কয়েকজন ছাত্রীও এদিন স্কুলে এসে অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও এদিন স্কুলে অনুপস্থিত ছিলেন ওই অভিযুক্ত শিক্ষক। পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি এদিন স্কুলে আসতে পারেননি বলে দাবি করেছেন।