পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে বর্তমানে ৫০ জনের মতো চিকিৎসক রয়েছেন। কিন্তু প্রতি বছরই পুজোর সময় হাসপাতালে চিকিৎসক নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে মুমূর্ষু রোগী নিয়ে পরিজনেরা বিপাকে পড়েন। সৌরভবাবু বলেন, এই সমস্যা এবার যাতে না হয় তার জন্য এদিনের বৈঠকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুজোর সময় বিকল্প ব্যবস্থা না করে কোনও চিকিৎসক ছুটি নিতে পারবেন না। একান্তই ছুটি নিতে হলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে উপযুক্ত কারণ দেখাতে হবে। তবেই ছুটি মিলবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, স্বাস্থ্যভবন থেকে অর্ডার হওয়া সত্ত্বেও জেলা হাসপাতালে রেডিওলজিস্ট আসছেন না। রোগীরা বিপাকে পড়ছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে বলেছি।
পুজোর সময় চিকিৎসকদের ছুটি বাতিলের বিষয়ে চিকিৎসকদের সংগঠন আইএমএ’র আলিপুরদুয়ার জেলা সম্পাদক যুধিষ্ঠির দাস কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে তিনি বলেন, রোগীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য পুজোর সময় রোস্টার তৈরি করেই চিকিৎসকরা হাসপাতালে রোগী দেখেন। রেডিওলজিস্টের ব্যাপারে হাসপাতালের সুপার চিন্ময় বর্মন বলেন, বিষয়টি আবারও স্বাস্থ্যভবনকে জানানো হবে।
আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে বর্তমানে ২৮২টি শয্যা আছে। রোগীদের অভিযোগ, শয্যার অভাবে অনেক সময়ে একই শয্যায় দু’জন করে রোগী থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। রোগীর এই চাপ সামলাতে হাসপাতালে আরও ২০০টি শয্যা বাড়ানোর কাজ চলছে। সেজন্য ১৫০০ বর্গফুট সম্পন্ন আরও একটি নতুন বিল্ডিং নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু ওই নতুন বিল্ডিং তৈরির কাজ এক বছরেও শেষ না হওয়ায় এদিনের বৈঠকে পূর্তদপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। এবিষয়ে পূর্তমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সৌরভবাবু। সৌরভবাবু বলেন, পূর্ত দপ্তরের ঢিলেমির জন্য ওই বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ হচ্ছে না। বিষয়টি পূর্তমন্ত্রীকে জানাচ্ছি। পূর্তদপ্তরের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকার (নির্মাণ) হেমন্তকুমার বিট বলেন, দ্রুত জেলা হাসপাতালের ওই বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।