বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
তৃণমূলের অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় তাদের মিছিল শেষ হওয়ার পর বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাজারে হামলা চালায়। ভেঙে দেওয়া হয় তৃণমূলের অঞ্চল কার্যালয় ও তৃণমূল শ্রমিক কংগ্রেসের অঞ্চল কার্যালয়। অপরদিকে বিজেপির অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় গোপালপুরে তাদের বুথ সভাপতি ক্ষীরেন বর্মনকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। সোমবার দু’জন বিজেপি কর্মী বাজারে গেলে তাঁদেরকেও মারধর করা হয়েছে। আহত বিজেপি কর্মীরা বর্তমানে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রবিবার সন্ধ্যায় গোপালপুর বাজারে মিছিল বের করে তৃণমূল। এরপরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। এরমধ্যেই একদল বিজেপি সমর্থক বাজারে ঢুকে তৃণমূলের অঞ্চল কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। দু’পক্ষের সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে আহত হন বিজেপির বুথ সভাপতি ক্ষীরেন বর্মন। রাতেই এলাকায় পুলিস নামলেও পরিস্থিতির বদল হয়নি। সোমবার সকাল থেকে বাজারের দখল নেয় তৃণমূলের লোকজন। বিজেপির অভিযোগ, এদিন পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের লোকজন বিজেপি কর্মিদের বাজারে ঢুকতে দিচ্ছে না। সকাল থেকেই বাজার এলাকায় দু’পক্ষের প্রচুর লোকজন এদিক-ওদিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে। দুপুরের দিকে দু’জন বিজেপি কমীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূল মারধর করার কথা অস্বীকার করেছে। তৃণমূলের দাবি, এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। বিজেপির কাউকেই মারধর করা হয়নি।
গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের মালতী বর্মন বলেন, আমরা কাউকে মারধর করিনি। বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে। রবিবার সন্ধ্যায় আমরা মিছিল করার পর বিজেপির লোকজন বাজারে ঢুকে আমাদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে। লোকসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপি সন্ত্রাসের ভয়ে আমাদের কর্মীরা বাজারে আসতে পারছে না। গোপালপুরের মতো শান্তিপূর্ণ জায়গাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। বিজেপি’র কোচবিহার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বর্মন বলেন, গোপালপুরে রবিবার মিছিল করার পর আমাদের বুথ সভাপতিকে বেধড়ক মারধর করেছে তৃণমূলের লোকজন। সোমবার সকাল থেকে পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে বাজার এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সোমবারও আমাদের দু’জন কর্মীকে বাজারে মারধর করা হয়েছে। আহত কর্মীরা হাসপাতালে রয়েছেন। আমাদের বুথ সভাপতিকে মারধর করার পর স্থানীয়রাই তৃণমূল পার্টি অফিসে ভাঙচুর করেছে। এরসঙ্গে আমাদের দলের কেউ যুক্ত নেই। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এলাকাকে অশান্ত করে আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।
এদিকে শনিবার মাথাভাঙা-২ ব্লকের দোলংমোড়ে বোমাবাজির ঘটনার পর এদিনও বাজার এলাকার পরিবেশ উত্তপ্ত ছিল। তৃণমূল-বিজেপি দু’পক্ষই বাজার এলাকায় জমায়েত হয়। তবে গণ্ডগোল আর হয়নি।