দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
বিজেপি’র দাবি, শনিবার রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাইকে দোলংমোড়ে চলে যায়। সেখানে একটি দোকানের সামনে এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে। স্থানীয়দের ভয় দেখাতে এলোপাথাড়ি বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। এরপর বড়াইবাড়ি মোড়ে এসে এক বিজেপি কর্মীর দর্জির দোকানেও হামলা চালানো হয়। তাঁকে মারধরও করা হয়।
অপরদিকে তৃণমূলের দাবি, এদিন তৃণমূল কর্মী ধনীরাম মণ্ডলকে বেধড়ক মারধর করেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বর্তমানে গুরুতর আহত ধনীরাম কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন।
এব্যাপারে বিজেপি’র কোচবিহার জেলা কমিটির সহ সভাপতি প্রতাপ সরকার বলেন, তৃণমূল ওদিন সন্ধ্যা থেকে গোটা এলাকায় বিজেপি কর্মীদের শাসানি দিতে থাকে। দোলংমোড়ে গিয়ে একটি দোকানে হামলা করে। ওই দোকানের মালিক আমাদের সমর্থক। এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করার লক্ষ্যে দেদার বোমাবাজিও করেছে। পরে বড়াইবাড়ি মোড়েও এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে। আমরা থানায় ডেপুটেশন দিয়ে পুলিসের কাছে দাবি জানিয়েছি যে ৭দিনের মধ্যে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। নাহলে আমরা মাথাভাঙা-২ ব্লকে বন্ধ ডাকব।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন পাল্টা দাবি করেন, মাথাভাঙা-২ ব্লকে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে বিজেপি। সাধারণ মানুষ এখন বিজেপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। তাই ভয় পেয়ে বিজেপি এসব করছে। আমাদের দলীয় কর্মী ধনীরাম মণ্ডলকে বেধড়ক মারধর করেছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। থানা ঘেরাওয়ের নামে এদিন বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করেছে বিজেপি। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পুজোর মুখে ঝামেলায় পুলিসকে স্মারকলিপি দিতেই পারেন। তবে ব্যবসায়ীরা আমাদের পাশেই রয়েছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী বলরাম মণ্ডলের স্ত্রী পুতুল মণ্ডল বলেন, দোলংমোড়ে তৃণমূল-বিজেপি দুই পক্ষই ঝামেলা করেছে। পরে তৃণমূলের লোকজন আমাদের দোকানে ভাঙচুর করার চেষ্টা করে। একটানা রাজনৈতিক সংঘর্ষে সাধারণ ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়ছি। যদি পুলিস দ্রুত ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরা পথ অবরোধ করতে বাধ্য হব।
এদিন বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে থানা চত্বরে বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। বিক্ষোভ দেখানোর পরে বিজেপি’র এক প্রতিনিধিদল থানায় ঢুকে একটি স্মারকলিপি জমা দেয়। বিজেপি নেতারা দাবি করেন, দোলংমোড়ে বোমাবাজির ঘটনায় দোষীদের ৭দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার না করলে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে।প্রয়োজনে গোটা ব্লকে বন্ধ ডাকা হবে।
অপরদিকে, ব্যবসায়ীরা এদিন নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে ঘোকসাডাঙা থানার পুলিসকে আলাদা করে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। পুজোর মুখে বাজার এলাকায় এধরনের রাজনৈতিক ঝামেলায় বিপাকে পড়ছেন তাঁরা। তাই পুলিস প্রশাসনের কাছে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।