বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ডুয়ার্সকন্যার কনফারেন্স হলে এদিনের বৈঠকে পর্যটন মন্ত্রী গৌতমবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্রনাথ মিনা, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের(এনবিএসটিসি) ডিরেক্টরের সদস্য মৃদুল গোস্বামী, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও কুমার বিমল, বিধায়ক হিতেন বর্মন ও অন্য সরকারি আধিকারিকরা। বৈঠক শেষে পর্যটন মন্ত্রী গৌতমবাবু বলেন, দুই জেলার পর্যটন শিল্পের বিকাশ নিয়েই এদিন আলিপুরদুয়ারে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে সেব্যাপারে বেশ কিছু পরিকল্পনা ও প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, সান্তলাবাড়ি থেকে বক্সা পাহাড়ের উপরে বক্সা ফোর্টে যেতে ৫ কিমি দীর্ঘ রাস্তার মধ্যে আড়াই কিমি রাস্তা পাকা করার কাজ করছে পূর্তদপ্তর। বাকি আড়াই কিমি রাস্তার কাজ করবে পর্যটন দপ্তর। পর্যটকদের কথা ভেবে বক্সা ফোর্টের আশেপাশে অস্থায়ী কিছু ইকো ফ্রেন্ডলি ক্যাম্পিং সাইট তৈরির ভাবনা চলছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল ঘেঁষা কুমারগ্রামের ফাঁসখাওয়াতে ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট সেন্টার তৈরি করব আমরা। তার জন্য ডিপিআর তৈরি করা হয়েছে। বক্সার পাহাড়ি গ্রাম লেপচাখা ও চুনাভাটির উন্নয়নেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
এদিন পর্যটন মন্ত্রী জানিয়েছেন, মাদারিহাটে পর্যটন দপ্তরের জলদাপাড়া ট্যুরিস্ট লজটিতে ভিআইপি কামরার সংখ্যা বাড়ানো হবে। সেজন্য সোমবার ওই লজে বৈঠক করবেন মন্ত্রী। এছাড়া আলিপুরদুয়ারের সিকিয়াঝোরা পর্যটন কেন্দ্রটিকে আরও উন্নত করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
আলিপুরদুয়ারের পর্যটন শিল্প নিয়ে দুটি অভিযোগ একাধিকবার উঠেছে। আলিপুরদুয়ারে বেড়াতে এসে পর্যটকরা ট্যাক্সি ভাড়া নিয়ে প্রায়শই অভিযোগ করেন। অন্যদিকে, অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দপ্তর থেকে বনবস্তিবাসীদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্লু হোম স্টে বানিয়ে দেওয়া হলেও তারা পর্যটক পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে এদিন পর্যটন মন্ত্রী বলেন, পর্যটকদের জন্য আলিপুরদুয়ারে দ্রুত ট্যাক্সি ভাড়া নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। এছাড়া পর্যটন দপ্তরের ওয়েবসাইটে ব্লু হোম স্টেগুলির লিঙ্ক দেওয়া থাকবে। তাহলে ঘরে বসেই সেই হোম স্টেগুলির সম্পর্কে জানতে পারবেন পর্যটকেরা।
এদিনের বৈঠকে পর্যটন শিল্পের বিকাশের সুবিধার্থে পর্যটনমন্ত্রী দুই জেলার প্রশাসনকে ইন্টিগ্রেটেড ট্যুরিজম ম্যাপ তৈরির নির্দেশও দিয়েছেন। পর্যটনমন্ত্রী গৌতমবাবু বলেন, এই ম্যাপ থাকলে দুই জেলার পর্যটন শিল্পের বিকাশের কাজ করতে সুবিধা হবে। এছাড়া ভারত-ভূটান আন্তর্জাতিক সীমান্ত জয়গাঁ শহরে আমরা ইন্ডিয়া গেট তৈরি করব। এর জন্য দরকারে বাইরে থেকে প্রযুক্তি নিয়ে আসা হবে।
এদিকে, সাগরদিঘি, বৈরাগীদিঘি ও রাজমাতাদিঘি সহ কোচবিহার জেলা সদরে অবস্থিত রাজ আমলের দিঘিগুলির মান উন্নয়নেও জোর দেওয়া হচ্ছে বলে পর্যটনমন্ত্রী জানান।