পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
নতুন পর্যটন মরশুম যাতে ভালোয় ভালোয় কাটে তারই কামনা করে এদিন মহাকাল ও হাতির পুজো করলেন বেসরকারি পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এদিন চিলাপাতা জঙ্গলের ভেতর বানিয়া নদীর সেতুর পাশে আরণ্যক পরিবেশে আয়োজিত এই পুজোয় ভিড় জমিয়েছিলেন স্থানীয় বনবস্তিরা। সেইসঙ্গে ছিলেন বাইরে থেকে আসা দেশবিদেশের পর্যটকরাও। উপস্থিত ছিলেন বনদপ্তরের রেঞ্জার, বিট অফিসার ও বনকর্মীরাও।
তবে জঙ্গল খোলার ২৪ ঘণ্টা আগে, এদিন থেকেই পর্যটকদের ভিড় আছড়ে পড়েছে চিলাপাতা বনাঞ্চলের হোম স্টে ও লজগুলিতে। ৯টি লজ ও ১৪টি হোম স্টে কানায় কানায় ভরতি পর্যটকে। সর্বত্র ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই অবস্থা। সোমবার থেকে চিলাপাতার জঙ্গলে কার সাফারি শুরুর জন্য স্থানীয় ট্যুরিস্ট গাইড ও কার সাফারি মালিকদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও কুমার বিমল বলেন, নতুন পর্যটন মরশুম শুরুর একদিন আগেই যেভাবে চিলাপাতা ও জলদাপাড়ায় পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়েছে তাতে আমরা খুবই খুশী। আশা করছি নতুন পর্যটন মরশুম সকলের ভালোয় ভালোয় কাটবে।
চিলাপাতা ইকো ট্যুরিজম সোসাইটির আহ্বায়ক বিমল রাভা বলেন, একেবারে ডিসেম্বর পর্যন্ত চিলাপাতার সবক’টি লজ ও হোম স্টে কানায় কানায় বুকিং হয়ে গিয়েছে। কোথাও খালি নেই।
চিলাপাতায় কার সাফারি রুটের দূরত্ব ৩৮ কিমি। চিলাপাতায় এই কার সাফারির যাত্রা শুরু হয় জঙ্গলের ভেতরে থাকা গা ছমছম করা ঐতিহাসিক নল রাজার গড় দিয়ে। এরপর এই কার সাফারি চিলাপাতার গহীন জঙ্গলের ভেতর শিকারীলাইন ওয়াচ টাওয়ার, পাতাইঝোরা, পাল রোড, বিছনবাড়ি, মন্থরাম বিট, মেন্দাবাড়ি ওয়াচ টাওয়ার হয়ে ফের নল রাজার গড়ে এসে শেষ হয়।
চিলাপাতার বিখ্যাত আকর্ষণ কোচবিহার মহারাজাদের তৈরি এই নল রাজার গড়। গড়ের ভগ্নাবশেষ ও গড়ের মধ্যে থাকা কিং কোবরা দেখার টানে নল রাজার গড়ে পর্যটকদের ভিড় আছড়ে পড়ে। নল রাজার গড়ের আর একটি অন্যতম আকর্ষণ রাজ আমলের বিখ্যাত রাম সুপারী গাছ। এই গাছে টোকা দিলে সাদা রস বের হয়। পরে বাতাসের সংস্পর্শে সেই সাদা রংয়ের রস লাল রংয়ের রসে পরিণত হয়। সেজন্য নল রাজার গড়ের এই গাছকে পর্যটকরা রক্তগাছও বলেন। তবে এই গাছের বংশবৃদ্ধি কম বলে বনদপ্তর এই গাছে পর্যটকদের টোকা দেওয়া এখন নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।
সোমবার কার সাফারি করবেন বলে কলকাতার সল্টলেকের বাসিন্দা সূর্য সাহা ও ভবানীপুরের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চিলাপাতার কুরমাই বনবস্তির একটি হোম স্টে’তে উঠেছেন। অভিষেকবাবুরা বলেন, নল রাজার গড় দেখব বলে শনিবারই চিলাপাতায় ঘাঁটি গেড়েছি। সোমবারই কার সাফারি করব।