পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
করিম চৌধুরী বলেন, অন্য দলের নেতা-কর্মীরা যাঁরা আসতে চাইছেন আমরা তাঁদের দলে নিচ্ছি। কিন্তু দল থেকে বের করে দেওয়া এবারই প্রথম শুনছি। দল বিরোধী কাজ করে থাকলে তার প্রমাণ দিতে হবে। নাসিমের বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ নেই। তিনি ব্যাঙ্কের একটি পদে আছেন এবং বোর্ডের অধিকাংশ সদস্য তাঁর পক্ষে আছেন। তারপরও কেন বহিষ্কার করা হল। আমার মনে হচ্ছে এটা ঠিক হচ্ছে না। এতে দল দুর্বল হয়ে পড়বে। একজন লোককে দল থেকে সরাতে হলে তাঁকে শো-কজ করতে হয়, তাঁকে সময় দিতে হয়। বিজেপিতে চলে গিয়েছেন বলা হচ্ছে, কিন্তু তার প্রমাণ কোথায়? কোনও দলের মিটিং হচ্ছে সেখানে আমি আছি এবং একটি ভিডিওতে আমার ছবি আসলেই কি বিজেপিতে যাওয়া হল? বিজেপির জেলা সভাপতি তো ঘোষণা করেননি।
কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, প্রত্যক্ষ প্রমাণের প্রয়োজন হয় না। নাসিম সাহেব বিজেপির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তার ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। গোয়ালপোখর ব্লক কমিটি তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়ে জেলাকে জানিয়েছে। ফলে জেলা বহিষ্কার করেছে। তিনি নিজেই আমার কাছে স্বীকার করেছেন লোকসভা নির্বাচনে কাজ করেননি। তাঁকে বলেছিলাম আরসিসিবি’র চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিতে। কিন্তু দেননি। নাসিম সাহেব বলেন, বহিষ্কারের বিষয়ে আমি করিম চৌধুরী, আমল আচার্য, মনোদেব সিংহ, হামিদুল রহমান সহ জেলা নেতৃত্বকে ফোন করে জানিয়েছি। তাঁরা বাইরে আছেন। করিম সাহেব বাড়িতে আছেন, তাই দেখা করতে এসেছি। দল বহিষ্কার করেছে কিন্তু নিয়ম অনুসারে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে শো-কজ করবে। উত্তর দিতে না পারলে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু দল তো আমাকে কিছুই জানায়নি। আমি দলেই আছি। আরসিসিবি’র চেয়ারম্যান পদে আছি। কিন্তু আমাকে ওই পদ থেকে সরানোর জন্য দেড় মাস ধরে চেষ্টা চলছে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, ইসলামপুরে তৃণমূল করিম কানাইয়া দুই গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে আছে। জেলা সভাপতি বহিষ্কারের পরে করিম সাহেবের দ্বারস্থ হয়েছেন নাসিম সাহেব। করিম সাহেব সরাসরি বহিষ্কারের বিরোধিতা করে অবৈধ দাবি করায় রাজনৈতিকভাবে কানাইয়াবাবুর বিরোধিতা করা হচ্ছে। যেহেতু নাসিম সাহেব এবিষয়ে দলের জেলার বড় বড় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন ফলে এবিষয়ে দলের মধ্যে মতভেদ হতে পারে। এবার এই পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়া সভাপতি হিসেবে কানাইয়াবাবুর কাছে চ্যালেঞ্জ হবে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ অবশ্য বলছে, গোয়ালপোখরের বিধায়ক তথা পঞ্চায়েত দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গোলাম রব্বানির সঙ্গে যোগাযোগ করেই কানাইয়াবাবু এই পদক্ষেপ করেছেন।