বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
হাসপাতালের চিকিৎসক পার্থপ্রতিম ভদ্র বলেন, মাঝেমাঝেই চিকিৎসকরা মার খাচ্ছেন। আমরা এদিনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসক মিছিল করেছি। দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছি। চিকিৎসক শান্তনু দত্ত বলেন, বিনা কারণেই এদিন আমাদের সহকর্মীকে মারধর করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। চিকিৎসকদের নিরাপত্তার জন্য হাসপাতালে পুলিস পিকেটের দাবি জানানো হয়েছে। ইসলামপুর পুলিস জেলার পুলিস সুপার সচিন মক্কর বলেন, এই ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা রোধে এখন থেকে হাসপাতালে দুই জন পুলিস কর্মী মোতায়েন থাকবে। পরে পুলিস কর্মীর সংখ্যা বাড়ান হতে পারে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকজন নার্স ও কর্মী চিকিৎসককে বাঁচাতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। তবে কারও আঘাতই গুরুতর নয়। এই ঘটনায় হাসপাতালের সমস্ত কর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিস আসে এবং দুই জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর চিকিৎসকরা নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান।
গত ২৭ মে রাতে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যু হয়। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে মৃতের পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে ভাঙচুর করে এবং চিকিৎসক ও নার্সদের মারধর করে। এরপর চিকিৎসক ও নার্সরা আন্দোলনে নেমেছিলেন। এই ঘটনার কয়েকদিন পরে ফের হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল। এদিন ফের চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সম্প্রতি রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে দুই নার্সকে মারধর করার ঘটনা সামনে আসে। নার্সরা এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমে চার দিন কার্যত হাসপাতালের পরিষেবা অচল করে দিয়েছিলেন। এতে রোগীরা ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, হাসপাতালে মাঝেমধ্যেই এমন ঘটনা ঘটছে। কখনও চিকিৎসক, কখনও নার্সরা রোগীর পরিজনদের রোষের মুখে পড়ছেন। আবার অনেক সময় ভাঙচুর করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই এধরনের ঘটনায় অভিযুক্তরা সহজেই ছাড় পাচ্ছে। তাই এধরনের ঘটনা মাঝে মাঝেই ঘটছে। চিকিৎসকদের মারধর কিংবা সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি না হলে এমন চলতেই থাকবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সব ক্ষেত্রে রোগীর পরিবারের লোকেদের দোষ থাকে এমন নয়। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসক ও নার্সরাও রোগীর পরিবারকে বুঝিয়ে বলেন না বা সহানুভুতির অভাব থাকে। এর ফলেও অনেক সময় এমন ঘটনা ঘটছে। চিকিৎসা পরিষেবাও উন্নত করা প্রয়োজন। ফের এমন ঘটনা ঘটলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন চিকিৎসকরা।