কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শনিবার শহরের মনোজিৎ নাগ বাস টার্মিনাসের কাছে শামুকতলা রোডে সমিতির অফিস ঘরে বৈঠক করে জেলার মাইক ব্যবসায়ীরা এই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বৈঠকে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৮৫ জন মাইক ব্যবসায়ী যোগ দেন। আলোচনার পর বৈঠকে ঠিক হয়েছে প্রশাসন এই ফতোয়া তুলে না নিলে জেলাজুড়ে মাইক ব্যবসায়ীরা মহালয়া থেকে কালীপুজো পর্যন্ত মাইক ব্যবসা বন্ধ রাখবেন।
জেলার মাইক ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে প্রশাসন প্রতিবার বৈঠক করলেও উৎসবে পুজো মণ্ডপে মাইকের শব্দ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশাসন তাঁদের সঙ্গে কোনও বৈঠক করে না। পুজো মণ্ডপে মাইকের শব্দবিধি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকারিভাবে প্রশাসন তাঁদের কোনও চিঠিও দেয় না। পুজো মণ্ডপে মাইকের শব্দবিধির ক্ষেত্রে সরকারিভাবে কোনও চিঠি না দিয়ে তাঁদের হয়রানি ও হেনস্তা করা হয়।
মাইক ব্যবসায়ীদের আরও অভিযোগ, প্রশাসনিক ও অন্য একটি সূত্রে তাঁরা জানতে পেরেছেন প্রশাসন এবার তাঁদের পুজো মণ্ডপে মাইকের এমপ্লিফায়ারে ডেসিবেল সাউন্ড লিমিটেড মেশিন লাগাতে বলেছে। তাঁরা শুনেছেন, এই মেশিনের দাম ১৪-১৫ হাজার টাকা। তাঁরা পুজোতে মাইক ভাড়া দিয়ে পান মাত্র চার-পাঁচ হাজার টাকা।
আলিপুরদুয়ার জেলা মাইক ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক বিষ্ণু সাহা বলেন, এই মুহূর্তে ওই মেশিন লাগালে আমরা লোকসানের মুখে পড়ব। তাই প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত তুলে না নিলে আমরা মহালয়া থেকে কালীপুজো পর্যন্ত মাইক ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হব।
সংগঠনের জেলা সভাপতি তপন সেন বলেন, মাইকের এই শব্দ নিয়ন্ত্রণ ডেসিবল সাউন্ড লিমিটেড মেশিন কোথায় পাওয়া যায় সেটাও আমরা জানি না। ফলে প্রশাসনের এই ফতোয়ায় আমরা বিপাকে পড়ব। তাছাড়া মণ্ডপে মাইক বাজে সম্পূর্ণভাবে পুজো উদ্যোক্তাদের খেয়ালখুশি মতো। অথচ মণ্ডপে জোরে মাইক বাজলে পুজো উদ্যোক্তাদের নয়, মাইক ব্যবসায়ীদের হেনস্তা করে পুলিস।
মাইক ব্যবসায়ীরাদের দাবি, মণ্ডপে জোরে মাইক বাজলে এবার থেকে দায় নিতে হবে পুজো কমিটির কর্তাদেরই। মাইক ব্যবসায়ীরা কোনওভাবেই এবার ওই দায় নেবে না।
জেলার পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি অবশ্য বলেন, মাইক ব্যবসায়ীরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁদের অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আমরা রাজি আছি।