কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
চাকুলিয়ার জয়েন্ট বিডিও মলয় সরকার বলেন, মিড ডে মিলের পরিস্থিতি দেখতে বুধবার কমলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। ওই বিদ্যালয়ে সাত জন শিক্ষক থাকলেও মাত্র একজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। ১৭০ জন পড়ুয়ার নাম খাতায় নথিভুক্ত থাকলেও সেদিন একজন পড়ুয়াও উপস্থিত ছিল না। কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগও হয়নি। এর আগের মিড ডে মিলের বিলগুলিতে দেখেছি কোনও মাসে ১৫০ জন, কোনও মাসে ১৪০ জনের বিল হয়েছে। তাই নিজেই গিয়েছিলাম। ওই স্কুলের টিআইসিকে মিড ডে মিলের হিসাব সংক্রান্ত বিষয়ে ও অনুপস্থিত থাকার জন্য শো কজ করা হয়েছে। বাকি পাঁচ জন শিক্ষককে অনুপস্থিতির কারণে শো কজ করা হয়েছে। নবিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিআইসিকেও শো কজ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাঁদের শো কজ করেছি। কমলপুর প্রাথমিক স্কুলের টিআইসি মহম্মদ শাকিল আখতার বলেন, আমাকে শো কজ করা হয়েছে, নির্দষ্ট সময়ের মধ্যেই উত্তর দেব। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রথমিক শিক্ষক সমিতির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহান বলেন, শিক্ষকদের পেশাগত সমস্যায় তাঁদের পাশে আমরা আছি। কিন্তু ডিউটিতে অনিয়ম হলে প্রশাসনকে পদক্ষেপ করার দাবি জানাব।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এলাকায় বহু প্রথমিক স্কুলেই শিক্ষকরা নিয়মিত আসছেন না। সময়ের পরে আসা এবং সময়ের আগে চলে যাওয়া কালচারে পরিণত হয়েছে। স্কুলগুলিতে মিড ডে মিল নিয়ে বহু অভিযোগ আছে। পড়াশুনার মান নিন্মমুখী হয়েছে। প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে দিনের পর দিন এভাবেই চলছে। নিয়মিত পরিদর্শন না হওয়ায় স্কুলগুলিতে নানা অনিয়ম হচ্ছে। অথচ প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করছে না। শিক্ষকরা বেতন বৃদ্ধির জন্য রাস্তায় নামেন কিন্ত শিক্ষা খাতে সরকার যে বিপুল অর্থ ব্যয় করছে তার পরিবর্তে শিক্ষকরা পড়ুয়াদের কতটা দিচ্ছে? শিক্ষকরা সরকারের বেতন নিয়ে নিজেদের ছেলেমেয়েদের প্রাইভেট স্কুলে ভর্তি করছেন। বাসিন্দাদের আরও দাবি, শিক্ষকরা যে স্কুলে চাকরি করেন তাঁদের ছেলেমেয়েদেও সেই স্কুল ভর্তি করতে হবে। প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, স্কুলগুলিতে মাঝে মাঝেই পরিদর্শন করা হবে।