পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্পেশাল টাস্কফোর্সের আধিকারিক সঞ্জয় দত্ত বলেন, যে দু’জনকে ধরা হয়েছে তারা হল অতুল সরকার ও জীবন বর্মন। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে রাতে আমরা জাতীয় সড়কে ওতপেতে ছিলাম। রাত ২টো নাগাদ জাতীয় সড়কের ধারে ধৃতরা দুই ক্রেতার সঙ্গে তক্ষক নিয়ে দরদাম করতে থাকে। সেই সময় আমরা তাদের তক্ষক সহ বমাল পকড়াও করি । বনকর্মীদের দেখতে পেয়ে ক্রেতা দু’জন পালিয়ে গেলেও বাইরে থেকে আসা ওই দু’জনকে ধরতে পারি। ধৃতরা প্রথমে নিজেদের দিল্লির একটি সংবাদমাধ্যমে কাজ করে বলে পরিচয়পত্র দেখায়। কিন্তু তক্ষকটি নিজেদের কাছে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কোনও কাগজপত্র ওরা দেখাতে পারেনি। তাই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নেপালের চোরা বাজারে তক্ষক সহ বন্যপ্রাণীর বাজার মূল্য প্রচুর থাকায় উত্তরবঙ্গকে করিডর করে তক্ষক পাচারের একটি চক্র তৈরি হয়েছে। বনদপ্তরের আধিকারিকদের দাবি, উত্তরবঙ্গের প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি এই পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। বনদপ্তরের একটি সূত্রে জানিয়েছে, অসম সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি থেকে তক্ষক এনে জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি হয়ে তা চোরাপথে নেপালে চলে যাচ্ছে। টাস্কফোর্সের দাবি, এক একটি তক্ষক এদেশের চোরা বাজারে পাঁচলক্ষের টাকার বেশি হয়ে থাকে। সেটি নেপালে নিয়ে গেলে কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি হয়। ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর বনকর্মীরা জেনেছেন, অসম থেকে এই তক্ষকটি নিয়ে আসা হয়েছিল। সেটি ফাটাপুকুরে কারও কাছে বিক্রি করার চেষ্টা চলছিল। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি কালো ছোট ব্যাগের মধ্যে তক্ষকটি তারা রেখেছিল। অভিযুক্ত দু’জনই আলিপুরদুয়ার জেলার বাসিন্দা। বনদপ্তরের জেরায় তারা জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গজুড়েই তক্ষক পাচারের জাল ছড়িয়ে আছে। নেপালে পাঠাতে পারলেই কয়েকগুণ বেশি দাম মিলতে পারে। বনদপ্তরের আধিকারিকরা ধৃতদের জেরা করে কয়েকজন প্রভাবশালীর লোকের নাম জানতে পেয়েছে। তাদের সন্ধানে বনকর্মীরা খোঁজ শুরু করেছেন। সম্প্রতি চিতাবাঘের চামড়া পাচারের অভিযোগে ভুটানের এক সেনাকর্মীকে বনকর্মীরা গ্রেপ্তার করেছিল।