বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, কিছুদিন আগেই নাসিম সাহেবকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে তিনি দলের হয়ে কাজ করেননি। বিজেপির সঙ্গেও তাঁর যোগ আছে। কয়েক মাস আগেই এবিষয়ে একটি ভিডিও আমাদের কাছে এসেছিল। যেহেতু তিনি গোয়ালপোখরের নেতা তাই সেখানকার নেতৃত্বের সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং তারাই বহিষ্কার করেছে। জেলা নেতৃত্বের বৈঠকে নাসিম সাহেবকে ব্যাঙ্কের পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত অনুসারে তাঁকে পদত্যাগ করতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি পদত্যাগ করেননি। এবার আমরা অনাস্থা আনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এজন্য বোর্ড অফ ডিরেক্টরের নির্বাচিত সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।
নাসিম সাহেব বলেন, তৃণমূল প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক এবং শিক্ষা বিষয়ক কর্মচারী ফেডারেশনের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি ছিলাম। কিন্তু সংগঠনের দুই রাজ্য নেতা বিজেপিতে যোগ দেয়। ফলে গোটা সংগঠনটাই বিজেপিতে চলে যায়। এই জেলায় সংগঠনের কিছু কর্মীকে নিয়ে ডালখোলায় মিটিং করছিলাম। সেখানে একাংশ কর্মী বিজেপিতে যোগদানের পক্ষে মত দিয়েছিলেন। ওই ভিডিওটা ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই আমাকে দলের কোনও কর্মসূচিতে ডাকা হয় না। কিন্তু আমি সকলকে পরিষ্কার করে দিয়েছিলম কোনওভাবেই বিজেপিতে যোগদান নয়। আমি তৃণমূলেই আছি। আমি শুনতে পারছি আমাকে পদ থেকে সরানোর চেষ্টা চলছে। দল আমাকে লিখিতভাবে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেয়নি। বহিষ্কারের বিষয়েও আমি কিছুই জানি না।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, গোয়ালপোখরের লোধন হাইস্কুলের শিক্ষক তৃণমূল নেতা নাসিম সাহেব পঞ্চায়েত দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গোলাম রব্বানির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁর স্ত্রী মহজাবি বেগম এবার গোয়ালপোখর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য। কয়েকমাস আগে জেলায় গুঞ্জন ছড়িয়েছিল নাসিম সাহেব বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।
তৃণমূলের একাংশের দাবি, নাসিম সাহেবকে সরিয়ে জয়নাল আবেদিনকে চেয়ারম্যান করা হতে পারে। তিনি বোর্ড অফ ডিরেক্টরের সহ সভাপতি। কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, বোর্ড অফ ডিরেক্টরে নয় জন নির্বাচিত সদস্য এবং একজন সরকারের প্রতিনিধি রয়েছেন। তাঁরা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। বিভিন্ন কো-অপারেটিভ সোসাইটির সদস্যদের ভোটে তাঁরা নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের অক্টোবরে নির্বাচন হয়েছিল। আর এক বছর মেয়াদ আছে।