পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কয়েকদিন আগে শিলিগুড়ি শহরের ঝঙ্কার মোড়ে একটি ঋণদান সংস্থায় ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সংস্থার কর্মীদের মারধর করে প্রায় ১০কোটি টাকার সোনার গয়না লুট করে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। তার পরেপরেই শহরের প্রাণকেন্দ্র বিধান মার্কেট থেকে উদ্ধার করা হয় হ্যান্ড গ্রেনেড। সেই বিস্ফোরক চীনের তৈরি বলে গোয়েন্দাদের সন্দেহ। পুজোর মুখে এই ঘটনাগুলি নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন শহরের নাগরিকরা। ইতিমধ্যে শহরের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে বিভিন্ন মহল প্রশ্নও তুলেছে। এ ব্যাপারে শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র অশোক ভট্টাচার্য পুলিস কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন। কংগ্রেস ও বিজেপিও আন্দোলনে নেমেছে। শাসকদল তৃণমূলের নেতা তথা পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও পুলিসকে শহরে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই অবস্থায় রাজ্য পুলিসের শীর্ষ কর্তাদের শিলিগুড়ি সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিসের ডিজি বীরেন্দর নেতৃত্বে একটি দল উত্তরবঙ্গে এসেছে। সেই দলে রাজ্য পুলিসের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ পুরকায়স্থ, রাজ্য পুলিসের ডেপুটি নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুধীর মিশ্র, এডিজি প্রমুখ রয়েছেন। বৃহস্পতিবার তাঁরা আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলা পুলিসের সঙ্গে বৈঠক করেন। শুক্রবার তাঁরা শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেই বৈঠকে দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলা পুলিসের আধিকারিকদেরও তলব করা হয়েছে।
পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার শিলিগুড়ির চারপাশে নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। এখান থেকে প্রতিবেশী দেশ চীন ও প্রতিবেশী রাজ্য বিহারের দূরত্বও খুব বেশি নয়। তাই বৈঠকে নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ ও অসম সীমান্তের অবস্থা, জালনোট, মাদক পাচার, গোরু পাচার প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। এছাড়া, বাংলাদেশি ও চীনা অনুপ্রবেশ, হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার, ডাকাতি প্রভৃতি ঘটনা নিয়ে আলোচনা করে নজরদারি চালানোর নতুন ‘ব্লু-প্রিন্ট’ তৈরি করা হতে পারে। কয়েকদিন আগেই অসমে এনআরসি’র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এর পরবর্তী এখানকার অবস্থা কীরকম সে প্রসঙ্গও বৈঠকে উঠতে পারে।