কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
মাধবডাঙার কালাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ওই গৃহবধূর স্বামী কেরলে কাজ করেন। তিনি বাড়িতে শ্বশুর, শাশুড়িকে নিয়ে থাকেন। তাঁর পরিবার সহ পাড়া প্রতিবেশীদের বক্তব্য ,ওই মহিলা মাঝেমধ্যেই মুরগি, পায়রা ধরে খাচ্ছে।
মহিলার শাশুড়ি বলেন, আমার ছোট ছেলের বউ রাতে আচমকাই চেঁচিয়ে ওঠে। আমাদের কাছে কাঁচা মাংস খেতে চায়। না দিতে পারলে চিৎকার শুরু করে দেয়। বাধ্য হয়ে ওকে মুরগি, পায়রা এনে দিই। ওসব ও কাঁচাকাঁচাই খায়। বাধ্য হয়ে আমরা ওঝা, কবিরাজের দ্বারস্থ হয়েছি। আমরা চাই বউমা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক।
স্থানীয় বাসিন্দা ভজন মণ্ডল, অর্চনা মণ্ডল বলেন, আমরা এমন মহিলা এর আগে দেখিনি। পরিবারটি চিকিৎসকের দ্বারস্থ না হয়ে কবিরাজের কাছে গিয়েছে। আমরা চাই মহিলা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। শুক্রবার এক ওঝা গৃহবধূর শরীর থেকে ভূত তাড়াতে ওদের বাড়িতে পুজোয় বসবেন।
ময়নাগুড়ির বিএমওএইচ লাকি দেওয়ান বলেন, ওই মহিলার মানসিক বা শারীরিক কি সমস্যা হয়েছে তা না দেখলে বোঝা মুশকিল। তবে অবশ্যই তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসা উচিত। এভাবে থাকলে ওই মহিলা আরও অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
ওই গৃহবধূ বলেন, আমার কি হয়েছে বলতে পারব না। তবে সবসময়ে আমার শরীরটা দুর্বল লাগে। ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের শিবম রায় বসুনিয়া বলেন, ওই মহিলাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া দরকার। আমি বিষয়টি এই প্রথম শুনলাম। শুক্রবারই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের জলপাইগুড়ি জেলার সম্পাদক পার্থ চক্রবর্তী বলেন, দ্রুত ওই মহিলার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। অনেক সময় মানসিক অবসাদ থেকে এরকম হতে পারে। তবে ভূত বলে কিছু নেই। আমরা এলাকায় গিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালাব।