পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তিনমাস বন্ধ থাকার পর আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের জঙ্গলও খুলে যাচ্ছে। বনদপ্তরের পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, দেশের এই জাতীয় বর্তমানে একশৃঙ্গ গণ্ডারের সংখ্যা ২৫৩তে ছুঁয়েছে।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও কুমার বিমল বলেন, পর্যটকদের যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কার সাফারির ভাড়া মাত্র ১০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে ট্যুরিস্ট গাইডদের। স্থানীয় কার সাফারি অ্যাসোসিয়েশন, গাইড অ্যাসোসিয়েশন, বেসরকারি হোটেল ও লজ মালিকদের নিয়ে বৈঠকের পরেই এই ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এখন জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে কার সাফারির জন্য ২৫টি জিপ আছে। ট্যুরিস্ট গাইড আছেন ৪০ জন। সকাল সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৭টা, সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা, দুপুর ১টা থেকে ৩টে এবং ৩টে থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোট চার ট্রিপে জাতীয় উদ্যানে কার সাফারি হয়। একটি জিপে মোট ছ’জন করে পর্যটক জঙ্গলের ভেতর সাফারি করতে পারেন। আগে কার সাফারির ভাড়া ছিল ১১০০ টাকা। নতুন পর্যটন মরশুম থেকে এই ভাড়া হচ্ছে ১২০০ টাকা। অন্যদিকে ট্যুরিস্ট গাইডরা আগে প্রতি ট্রিপে পেতেন ২৫০ টাকা করে। আগামী মরশুম থেকে ট্যুরিস্ট গাইডরা পাবেন ৩০০ টাকা করে। অর্থাৎ এক ট্রিপে সাফারি কারের ভাড়া ও ট্যুরিস্ট গাইডের চার্জ সহ পর্যটকদের দিতে হবে ১৫০০ টাকা।
জলদাপাড়া কার সাফারি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম সদস্য গৌতম সরকার বলেন, নতুন পর্যটন মরশুম থেকে বনদপ্তর কার সাফারির ভাড়া ১০০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া আমরা খুশি। আশা করছি, পর্যটকদের এতে কোনও অসুবিধা হবে না।
তবে চিলাপাতা ও কোদালবস্তিতে কার সাফারির ভাড়া বাড়ছে না। সেখানে কার সাফারির ভাড়া আগে যা ছিল তাই থাকছে। প্লাস্টিকজাত দ্রব্য নিয়ে জাতীয় উদ্যানে ঢোকা নিষিদ্ধ করছে বনদপ্তর। ওসব নিয়ে জাতীয় উদ্যানে ঢুকলে পর্যটকদের জরিমানা করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনদপ্তর। নতুন পর্যটন মরশুম থেকেই পর্যটকরা জাতীয় উদ্যানের লঙ্কাপাড়া ও তিতির জঙ্গল দিয়ে টোটোপাড়া পর্যন্ত নতুন কার সাফারি রুটেও সাফারি করতে পারবেন।
এদিকে পর্যটন দপ্তরের জলদাপাড়া ট্যুরিস্ট লজ, বনদপ্তরের হলং বাংলো সহ মাদারিহাটের সরকারি, বেসরকারি ট্যুরিস্ট লজগুলিতে পুজোর আগেই ঠাসা বুকিং হয়ে গিয়েছে। জলদাপাড়া ট্যুরিস্ট লজের ম্যানেজার নিরঞ্জন সাহা বলেন, কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য ডুয়ার্সে এবার পর্যটকদের ঢল নামবে। আমাদের লজে ইতিমধ্যেই ১০০ শতাংশ বুকিং হয়ে গিয়েছে।