পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বলদাহার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী গৌরী রায় বলেন, আমাদের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বর্তমানে মাসিক ভাড়ায় এক বাড়িতে চলছে। আমাদের এখনও নিজস্ব কোনও ভবন তৈরি হয়নি। এক বছর আগে ভবন তৈরির কাজ শুরু হলেও তা অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এনিয়ে ব্লক শিশু বিকাশ কেন্দ্রের আধিকারিককে একাধিকবার জানালেও কোনও কাজ হয়নি। বর্তমানে যেখানে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি চলছে সেখানে পানীয় জল ও শৌচালয়ের সমস্যা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সুতপা রায় বলেন, বলদাহার এলাকায় নিজস্ব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র না থাকায় এই কেন্দ্রে ছোট্ট জায়গাতে কোনওরকমে শিশুদের বসতে দেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। বর্ষাকালে শিশুরা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বসতে পারে না। রান্নাঘর না থাকায় স্বাস্থ্যসম্মত রান্না হয় না। এছাড়াও শৌচালয় ও পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। এমন পরিস্থিতে আমরা গ্রামবাসী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি তৈরির কাজ শেষ করার আবেদন জানালেও কোনও কাজ হয়নি। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি তৈরির কাজ শেষ করুক।
কুশমণ্ডির বিডিও মহম্মদ জাকারিয়া বলেন, ঘরের অভাবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুরা অসুবিধায় রয়েছে আমার জানা নেই। কী কারণে ভবনের কাজ আটকে রয়েছে সে বিষয়ে ব্লক শিশুবিকাশ কেন্দ্রের আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এখনো ভাড়া করা বারান্দায় ৮০ জন শিশুদের নিয়ে চলছে কুশমণ্ডির বলদাহার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। একবছর আগে ভবন তৈরির কাজ শুরু হলেও তা বর্তমানে মাঝপথে আটকে রয়েছে। এলাকাবাসী বহুবার আবেদন করলেও তার কোনও সমাধান মেলেনি। ফলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে বর্ষাকালে গর্ভবতী মহিলা থেকে শিশুদের কেন্দ্রে কোনওরককে গিয়ে পুষ্টিকর খাবার নিতে হয়।