পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তিন বছর আগে পাথর বোঝাই ট্রাক পার হতে গিয়ে ভেঙে পড়েছিল গাদলেরকুঠির সুটুঙ্গা নদীর সেতুটি। বর্তমানে সেই ভাঙা সেতু দিয়েই বিপজ্জনকভাবে কোনওক্রমে যাতায়াত করেন এলাকার বাসিন্দারা। নতুন করে সেতু তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি। পুজোর আগে এই সেতুটি ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকায় চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর থেকে সেতু তৈরির আশ্বাস মিলেছিল। স্থানীয়রা জানান, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা এলাকায় এসে মাটি পরীক্ষা করে গিয়েছেন প্রায় দুই বছর আগে। তারপর সেতুর ব্যাপারে আর কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
গাদলেরকুটি গ্রামে সুটুঙ্গার উপর সেতুটি না থাকায় এলাকার মানুষকে অনেকটাই ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ঘুরপথে যাওয়ার ভরসা নিউ গোসাইয়েরহাট হয়ে মাথাভাঙা শহর যাওয়ার রাস্তাটি। সেটিও ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে। বড় বড় গর্তে যেকোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অথচ সুটুঙ্গার এই ভাঙা সেতুর দু’দিকেই পাকা রাস্তা রয়েছে। তাই সেতুটি তৈরি হয়ে গেলেই সেই রাস্তাটি ব্যবহার করা যাবে।
মাথাভাঙা-১ ব্লকের শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গাদলেরকুঠি গ্রামে সুটুঙ্গা নদীর উপর বিগত বাম আমলের প্রথমদিকে তৈরি করা হয়েছিল ১৩২ মিটার জয়েশ ব্রীজ। পরবর্তীকালে তার রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকঠাক করা হয়নি বলে অভিযোগ। প্রায় তিন বছর আগে একটি ভারী ট্রাক সেতুটি পার হওয়ার সময় সেটি ভেঙে যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। হাজরাহাট-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ মানুষকে শিকারপুরে বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে কাজের জন্য যেতে গেলে এখন মাথাভাঙা শহর হয়ে ঘুরে আসতে হয়। বর্তমানে মাথাভাঙা যাওয়ার রাস্তাটিও ভাঙাচোরা হয়ে পড়ে রয়েছে। সেতুটি না থাকায় চরম হয়রানি হতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নদীর জল কম থাকায় অনেকে ঝুঁকি নিয়ে সাইকেলে যাতায়াত করছেন। অনেকে ভাঙা সেতুটি দিয়েই বাইকে চাপে পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন। নদীর এপারে রয়েছে হাজরাহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি অংশ। সেই পঞ্চায়েতে কাজের জন্য গেলেও মাথাভাঙা শহর হয়ে ঘুরে যেতে হয় বাসিন্দাদের। হাজরাহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের বিডিও অফিসে যাতায়াত করার জন্য প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হচ্ছে। বালাসি, কালাগাঁও এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে সেই দূরত্ব আরও বেশি।
বাসিন্দারা জানান সামনে পুজো। পুজোর কেনাকাটা থেকে শুরু করে নিত্যকাজে বের হতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। পুজোর দিনগুলোতে মাথাভাঙা শহর সহ অন্যত্র যেতে রাস্তা ও সেতু-দুটিই নতুন করে তৈরি করা প্রয়োজন।
এব্যাপারে শীতলকুচির বিধায়ক হিতেন বর্মন বলেন, বর্ষার আগেই সেতুর কাজ শুরু করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু নির্বাচন ঘোষণা হওয়ায় কাজ শুরু করা যায়নি। এখন এব্যাপারে আবার খোঁজ নিয়ে দেখব। আশা করছি, পুজোর আগে সেতুর কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।
মাথাভাঙা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মজিরুল হোসেন বলেন, সেতুটির কাজ যাতে এবছরই শুরু হয় সেই, চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের জন্য কাজ শুরু করা যায়নি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী ও এলাকার বিধায়কের সঙ্গে শীঘ্রই এবিষয়ে কথা বলব আমরা।