পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বুধবারেও ড্রেনের কাজ চালু করতে পারেনি ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ড্রেনের যে কাজ করা হচ্ছে তা নিয়ম মেনে হচ্ছে না। একেবারে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। মাটির উপর বালি না দিয়ে ঢালাই করা হচ্ছে। কাদা মাটির উপরে ড্রেনের কাজ করা হচ্ছে। হাইড্রেন এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে যাতে এলাকার জল কোনওভাবেই বেরতে পারবে না।
নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার রাতে প্রধান মেরিলা মুর্মু ও স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা ঠিকাদার সংস্থার কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, কাজের সিডিউল দেখতে চাইলেও তা দেখাতে পারেনি ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা। প্রধান মেরিলা মুর্মু ও বাসিন্দারা দাবি করেন, কাজের সিডিউল না দেখানো পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে।
অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপি’র মেরিলা মুর্মু বলেন, পদ্ধতি মেনে ড্রেনের কাজ করা হচ্ছে না। বাসিন্দারা আমার কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে দেখতে পাই যে একেবারে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। ঠিকাদার সংস্থার কাছে কাজের সিডিউল দেখতে চাই। তা তারা এখনও দেখাতে পারেননি। সঠিক পদ্ধতি কাজ না করা হলে আমরা কাজ চালু করতে দেব না। ইট কারা লুট করেছে তা জানা নেই।
স্থানীয় বাসিন্দা বাবুন সরকার, অখিল বর্মনরা বলেন, লাল বালি দিয়ে কাজ হচ্ছে না। মাটির খুঁড়ে তার উপরে ঢালাই করে দেওয়া হচ্ছে। মাটি সমান পর্যন্ত করা হচ্ছে না। কিছু দিন পরেই এই ড্রেন নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা চাই সঠিক পদ্ধতি মেনে কাজ হোক।
৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের মালদহ ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার জগন্নাথ সামন্ত বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তবে তা তদন্ত করে দেখা হবে।
হিলি-বালুরঘাট ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ জোরকদমে শুরু হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থা বাজার এলাকাগুলিতে ড্রেন তৈরির কাজ শুরু করেছে। মঙ্গলবার কামারপাড়ার এলাকার হাসপাতাল মোড়ে ড্রেনের ঢালাই কাজ চলছিল। সেই সময়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিজেপি’র প্রধান গিয়ে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে কাজ বন্ধ করে দেন। একদিকে যখন নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে কামারপাড়া বাজার এলাকায় কিছু বাসিন্দা রাস্তায় পাতা গোটা ইট তুলতে শুরু করেন। ট্রাক্ট্রর, ভ্যান, টোটো নিয়ে এসে কয়েকশো বাসিন্দা ইট লুটপাট করেন। বাসিন্দাদের এমন কর্মকাণ্ডে হতবাক জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। রাত ২টো পর্যন্ত ইট লুটপাট চালান গ্রামবাসীরা। প্রচুর মানুষ উপস্থিত থাকায় ইট লুটপাটে বাধা দেওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা।