কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সংশোধনাগার সূত্রেই জানা গিয়েছে, এখানকার একাংশ কর্মীর সঙ্গে বাইরের কিছু দালালের যোগসাজশেই এই কারবার চলছে। বন্দিদের তাদের পরিবারের তরফে টাকা দেওয়া হয়। সেই টাকা দিয়ে জেলের ভিতরে প্রকাশ্যে মাদক কিনে তারা সেবন করছে। চক্রে জড়িতরা জেলের কর্মী ও বন্দিদের সঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বাইরে থেকে প্লাস্টিকের বোতলে মদ, ব্যাগে করে গাঁজা, মাদক প্রাচীরের ওপার থেকে জেলের ভিতরে ছুঁড়ে মারছে। তৎক্ষণাৎ জেলের ভিতরে থাকা চক্রে যুক্ত কর্মী ও বন্দিরা তা সংগ্রহ করে গোপন স্থানে রেখে দিচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী বন্দিদের কাছে তা বিক্রি করছে। ইতিমধ্যে এই চক্র বন্ধ করতে জেল কর্তৃপক্ষের তরফে বাইরে বেশি করে নিরাপত্তা চেয়ে পুলিসের কাছে চিঠি করা হয়েছে।
বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের আধিকারিক অশোক চক্রবর্তী বলেন, প্রায়ই আমরা মাদক উদ্ধার করে পুলিসের হাতে তুলে দিয়ে থাকি। মাদক চক্র বন্ধ করতে আমরা তৎপর আছি। বাইরে থেকে কিছু অসাধু ব্যক্তি এই মাদক জেলের ভিতরে সরবরাহ করছে। প্রাচীরের ওপার থেকে জেলের ভিতরে ফেলে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলের বাইরে যাতে পুলিসি নিরাপত্তা বাড়ানো হয় সেজন্য পুলিসকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারের ভিতরে মাদকের কারবার রমরমিয়ে চলছে। টাকা দিলে যেকোনও ব্রান্ডের মদ পাওয়া যাচ্ছে। যা বাজার মূল্যের থেকে একটু বেশিতে ভিতরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি গাঁজা প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে। সংশোধনাগারের কর্মীরা জানিয়েছেন, ভিতরে গাঁজার চাহিদা বেশি। জেলের প্রাচীরের চারদিকে এই চক্রের পাণ্ডারা দিনরাত থাকে। ঢিলেঢালা নিরাপত্তার সুযোগে ব্যাগ ভর্তি মাদকদ্রব্য ছুঁড়ে দিয়ে জেল চত্বরে পৌঁছে দিচ্ছে। ভিতরে সেগুলি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। জেল কর্তৃপক্ষ প্রায়ই মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে পুলিসের হাতে তুলে দেয়। তারপরও চক্র বন্ধ হচ্ছে না। জেলের ভিতরে চলা এই চক্র বন্ধ করতে রীতিমতো নাজেহাল হয়ে পড়েছে কর্তৃপক্ষ।