পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরে সিটি অটো ও টোটোর ভাড়া নিয়ে জলুমবাজির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে রাতে তাদের দাপট বেড়ে যায়। দিনে যে রুটে ১০-১৫ টাকা ভাড়া, রাতে সেই রুটেই চালকরা ৩০, ৪০ বা ৫০ টাকা করে ভাড়া দাবি করেন। অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতায় সিটি অটো ও টোটোচালকরা লাগামহীন ভাড়া চাইছেন। বিভিন্ন মহলের কাছ থেকে এব্যাপারে অভিযোগ পেয়ে জেলা পরিবহণ দপ্তর নড়েচড়ে বসেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস খানেক আগে টোটো ও অটোর যাত্রী ভাড়া নিয়ে শহরে সমীক্ষা চালানো হয়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে টোটো ও অটোর যাত্রীদের ভাড়ার খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তা অনুমোদনের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
জেলা পরিবহণ দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, নতুন তালিকায় বর্তমান ভাড়ার থেকে সামান্য হেরফের করা হয়েছে। কোথাও নির্ধারিত ভাড়ার ১০ শতাংশ, আবার কোথাও ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। রাজ্য সরকার ওই তালিকা অনুমোদন করলেই তা লাগু করা হবে।
সিটি অটো ও টোটোর ভাড়া নিয়ে শহরবাসীরা রীতিমতো তিতিবিরক্ত। ভাড়া নিয়ে প্রতিদিনই মাটিগাড়া, এনজেপি, সালুগাড়া, চম্পাসারি, মেডিক্যাল কলেজ, নৌকাঘাট সহ বিভিন্ন রুটে অটো চালকদের সঙ্গে যাত্রীদের ঝামেলা হচ্ছে। বাসিন্দারা অতীত দিনের মতো শহরের রাস্তায় সিটি বাসের সংখ্যা বাড়ানোর দাবিও তুলেছেন। কয়েকজন যাত্রী বলেন, দিনে শিলিগুড়ি শহর থেকে মাটিগাড়া বাইপাস পর্যন্ত যেতে ভাড়া নেওয়া হয় ১৫ টাকা। রাত হলেই সেই ভাড়া বেড়ে দাঁড়ায় ২০-২৫টাকা। এনিয়ে প্রতিবাদ করলে অটো চালকারা চোটপাট দেখান। কয়েকদিন আগে রাতে কয়েকজন যাত্রীকে অটো থেকে জোর করে নামিয়েও দেওয়া হয়।
শুধু অটো নয়, টোটো চালকদের দাপটও লাগামহীন। যাত্রীরা বলেন, কোর্টমোড় থেকে এয়ারভিউ পর্যন্ত টোটোর ভাড়া ১০ টাকা। রাতে টোটো চালকদের একাংশ সেই ভাড়ায় একজন বা দু’জন যাত্রীকে সংশ্লিষ্ট রুটে নিয়ে যেতে চান না। চালকারা তখন ১৫ টাকা করে চান। আর রাতে শহরের হাসমিচক থেকে দার্জিলিং মোড়, সিটি সেন্টার, মাটিগাড়া যেতে চাইলে টোটো রিজার্ভ না করে যাওয়াই যায় না। সকলেরই দাবি, সিটিঅটো ও টোটো চালকাদের সঙ্গে ঝামেলা এড়াতে অবিলম্বে নতুন ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করা জরুরি।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের পর থেকে আর সিটি অটোর যাত্রী ভাড়ার তালিকা সংশোধন করা হয়নি। সেই তালিকা অনুসারেই অটো চালকরা বিভিন্ন রুটে নিজেদের ইচ্ছা মতো ভাড়া নির্ধারণ করছেন। ইদানীং টোটোচালকরাও একই পথ অনুসরণ করছেন। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি সিটি অটো, ম্যাক্সিকাব ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সমীর দে অবশ্য বলেন, কোনও অটো চালক ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ পাইনি। পেলে তা খতিয়ে দেখব। তবে ভাড়ার তালিকা সংশোধন করার দাবি প্রশাসনের কাছে জানানো হয়েছে। তা শীঘ্রই চালু হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।