ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
তৃণমূলের স্থানীয় নেতা মনোজ রায় বলেন, মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে। কিন্তু যেভাবে ওরা সকলকে ধোঁকা দিচ্ছে আগামী বিধানসভা নির্বাচনেই রাজ্যের মানুষ তার জবাব দেবে। লোকসভা ভোটে বিজেপিকে ভোট দিয়ে ময়নাগুড়িবাসী অনুতপ্ত। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ময়নাগুড়ি ব্লকে বিজেপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপির অনেক নেতা আমাদের দলে এসেছেন। অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি আমাদের দিশা দেখিয়েছে। বিধানসভা ভোটের পর বিজেপির অহঙ্কার চূর্ণ হবে। ব্লকের সাপ্টিবাড়ি-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা আমাদের দল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। তাঁরা তাঁদের ভুল বুঝতে পেরে ফের আমাদের দলে চলে এসেছেন।
বিজেপি’র জলপাইগুড়ি জেলার সম্পাদক অনুপ পাল বলেন,বিজেপি ছেড়ে যাঁরা চলে গিয়েছেন তাঁরা দলে থেকেও কোনও কাজ করছিলেন না। তাই তাঁরা পালিয়েছেন। তাঁরা বুঝতে পেরেছে বিজেপিতে পদ পেতে গেলে সময় লাগে, কাজ করতে হয়। সুবিধাবাদীরা বিজেপি ছাড়ায় দলেরই ভালো হয়েছে। এতে আমাদের বিন্দুমাত্র ক্ষতি হয়নি। আগামী দিনে কেউ দল ছাড়লে তাতেও কিছু সমস্যা হবে না। আমরা সারা বছর মানুষের জন্য কাজ করি। তাই তাঁদের ভোটেই জয়ী হই। তাঁরা আমাদের পাশেই আছেন। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে আমরাই জয়ী হব।
২০১৯’র লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি জেলায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল বিজেপি’র কাছে পরাজিত হয়। তৃণমূলেরই একটি অংশের দাবি, সেই সময় শাসক দলের বেশ কিছু নেতা নিজেদের দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে নিয়েছিলেন। সেকারণে দল প্রচারেও পিছিয়ে গিয়েছিল। ভোট পরবর্তী সময়ে তৃণমূল অভিযোগ তোলে, বিভিন্ন জায়গায় তাদের দলীয় কার্যালয় দখল হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাতে শুরু করে। একের পর এক বিজেপি নেতা তৃণমূলে যোগ দিতে শুরু করেন। শিবশঙ্কর দত্ত, ডালিমচন্দ্র রায়, অপু রাউতের মতো ব্লকের দাপুটে নেতারা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এদের মধ্যে শিবশঙ্কর দত্তকে অবশ্য বিজেপি বহিষ্কার করেছিল। ওই নেতারা ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেওয়ায় ময়নাগুড়ি ব্লকে ফের তৃণমূল গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সময়ে দলীয় কর্মসূচিতে তৃণমূল শিবির গমগম করছে।