রঞ্জুগোপাল মুখোপাধ্যায়, মালদহ, বিএনএ: আজ, সোমবার থেকে মালদহে শুরু হচ্ছে খাদ্যসাথী প্রকল্পে নাম তোলার কাজ। এব্যাপারে আবেদনপত্র জমা নেওয়ার জন্য জেলার ১৫টি ব্লক এবং দুই পুরসভা এলাকায় মোট ১৭টি শিবির খোলা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট শিবির থেকেই আবেদনের ফরম পাওয়া যাবে।
জেলা খাদ্য নিয়ামক পার্থ সাহা বলেন, ইতিমধ্যে অনেকেই খাদ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় রেশন সামগ্রী পাচ্ছেন। আরকেএসওয়াই-১ কার্ডে প্রতি মাসে মাথাপিছু দুই কিলোগ্রাম চাল ও তিন কিলোগ্রাম গম দেওয়া হয়। প্রতি কেজি চাল ও গমের দাম দুই টাকা। অন্যদিকে, আরকেএসওয়াই-২ কার্ডে জনপ্রতি এক কিলোগ্রাম করে চাল ও গম দেওয়া হয়। প্রতি কেজি চাল ও গমের দাম যথাক্রমে ১৩ এবং ৯ টাকা। নতুন করে ওই দুই কার্ড পাওয়ার জন্য ৯-২৭ সেপ্টেম্বর আবেদন করা যাবে। সপ্তাহের কাজের দিনে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিবিরে গিয়ে আবেদন করা যাবে।
দপ্তর জানিয়েছে, নতুন কার্ডের পাশাপাশি পুরানো কার্ড সংশোধনের জন্যও আবেদনপত্র নেওয়া হবে। নতুন করে কোনও পরিবারের অন্তর্ভুক্তির জন্য ৩ নম্বর ফরম পূরণ করতে হবে। কোনও একজন সদস্যর নাম অন্তর্ভূক্তির জন্য চার নম্বর ফরমে আবেদন করতে হবে। নাম, ঠিকানা সংশোধনের জন্য পাঁচ নম্বর ফরম প্রয়োজন হবে। ডিলার পরিবর্তনের জন্য ছয় নম্বর ফরম লাগবে। মৃত্যু, বিয়ে প্রভৃতি কারণে কার্ড বাতিলের জন্য পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সাত নম্বর ফরম পূরণ করবেন। আরকেএসওয়াই-২ থেকে আরকেএসওয়াই-১ কার্ড পরিবর্তনের জন্য আট নম্বর ফরমে আবেদন করতে হবে। কোনও কারণে কার্ড হারিয়ে গিয়ে থাকলে নতুন কার্ড পাওয়ার জন্য নয় নম্বর ফরম জমা দিতে হবে। শহর এবং গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য পৃথক পৃথক ফরম রয়েছে। পূরণ করা ফরমের সঙ্গে ভোটার, আধার বা প্যান কার্ডের জেরক্স জমা দিতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে জন্ম শংসাপত্রের জেরক্স কপি জমা দিলেই হবে। বিডিও অফিস বা পুরসভা কার্যালয় লাগোয়া কোনও ভবনে শিবির করার চেষ্টা চলছে। শিবিরের ব্যাপারে খাদ্য দপ্তরের কর্মী-আধিকারিকদের প্রশিক্ষণএবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খাদ্য দপ্তর জানিয়েছে, গ্রামাঞ্চলের ক্ষেত্রে বাড়িতে দুই বা চার চাকার যানবাহন, ট্রাক্টর, নৌকো প্রভৃতি থাকলে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না। পরিবারের কোনও সদস্য সরকারি দপ্তর বা সরকারের আওতাভুক্ত কোনও সংস্থায় কর্মরত, মাসে ১৫ হাজার টাকার বেশি আয় অথবা আয়কর দিলে সংশ্লিষ্ট পরিবার আবেদন করতে পারবে না। তিন কামরার পাকা বাড়ি, ল্যান্ড লাইন টেলিফোন, ফ্রিজ, আড়াই একরের বেশি সেচসেবিত জমি এবং সেচের যন্ত্র, পাঁচ একরের বেশি দুই বা তিন ফসলি জমি থাকলেও খাদ্যসাথীর সুবিধা মিলবে না।
অন্যদিকে, শহরাঞ্চলে দুই বা চার চাকা গাড়ি, এসি মেশিন, ওয়াশিং মেশিন, ইন্টারনেট সুবিধাযুক্ত কম্পিউটার বা ল্যাপটপ, ল্যান্ড লাইন টেলিফোন, রেফ্রিজারেটর প্রভৃতি সামগ্রীর মধ্যে যে কোনও তিনটি বাড়িতে থাকলে আবেদন করা যাবে না। গ্রামাঞ্চলের মতোই পরিবারে সরকারি চাকুরে, আয়কর দাতা তিন বা বেশি কক্ষ বিশিষ্ট ছাদযুক্ত পাকা বাড়ি থাকলে খাদ্যসাথীর সুবিধা পাওয়া যাবে না।