বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
জলপাইগুড়ির পুলিস সুপার অভিষেক মোদি বলেন, আমরা শহরজুড়ে পেট্রোলিং বাড়িয়েছি। কারও গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে তাদের উপর বাড়তি নজর রাখছি। থানায় সেসব অভিযোগ জমা পড়ছে সেসব নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে। আমাদের দক্ষ অফিসাররা কাজ করছেন।
সম্প্রতি শহর লাগোয়া মোহিতনগরে ফেরিওয়ালা সেজে বাড়িতে ঢুকে লুটপাট করার মতো ঘটনা ঘটে। অফিস টাইমে বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকার সুযোগে গৃহবধূদের সোনার হার, আঙটি পরিষ্কার করে দেওয়ার নাম করে তা ছিনিয়ে পালিয়ে যায় একটি দুষ্কৃতী দল। পরিবারটি ওই ঘটনায় ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ জানায়। পুলিস ওই যুবকদের এখনও ধরতে পারেনি। রাখী পূর্ণিমার দিন বউকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যান পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের পরেশ মিত্র কলোনির এক ব্যক্তি। দু’দিন পরে ওই দম্পতি বাড়ি ফিরে দেখে ঘরের দরজা ভেঙে চোরেরা দামি সব জিনিসপত্র নিয়ে গিয়েছে। এমনকী চোরেরা ঘরে বসে মদও খেয়েছিল। পুলিস ঘরের মধ্যে থেকে মদের খালি বোতল উদ্ধার করেছিল। চিকিৎসা করাতে এক সপ্তাহের জন্য বাড়িতে তালা মেরে বেঙ্গালুরু গিয়েছিল শহরের এক দম্পতি। সেখান থেকে ফিরে এসে তাঁরা দেখেন তাদের বাড়িতেও চুরি হয়েছে। জলের পাম্পও দুষ্কৃতীরা নিয়ে যায়। এসব ক্ষেত্রে অবশ্য প্রতিবেশীরা ঘুণাক্ষরও টের পায়নি। তবে তদন্তকারীদের দাবি, রাতে এলাকা দিয়ে দামি গাড়ি নিয়ে যেতে তাঁরা কাউকে দেখেছিলেন। শহরের এক ব্যক্তির মোটর বাইকের ডিকি ভেঙে ভিনরাজ্যের এক ব্যক্তি টাকা চুরি করতে গিয়ে সম্প্রতি ধরা পড়ে যায়। তাকে বাসিন্দারা গণপিটুনিও দেয়। পরপর এমন ঘটনায় পুলিস এখনও পর্যন্ত একটি ক্ষেত্রেই অপরাধীকে ধরতে পেরেছে। বাকিদের হদিশ পায়নি।
তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, পুজোর মুখে চোরের দল তাদের কৌশল পাল্টেছে। আগে চুরি করে দুষ্কৃতীরা শান্তিপাড়া বাসস্টান্ড থেকে বাস ধরে বা জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ট্রেন করে চলে যেত। এখন ওরা দামি গাড়ি করে এসে চুরি করে ফিরছে। তাই মানুষের মধ্যে সন্দেহ সেভাবে থাকছে না। আবার মোটর বাইকে করেও পালিয়ে যাচ্ছে। পুলিস কর্মীরাই স্বীকার করেছেন, শহরের সিসিটিভিগুলি অকেজো থাকায় চোর ধরতে বেগ পেতে হচ্ছে। যদিও তারা জানিয়েছে, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন সহ জনবহুল এলাকায় সাদা পোশাকের পুলিস টহল দিচ্ছে।