কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিজেপি’র জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, আমরা মূলত দ্বিস্তরীয় পদ্ধতিতে প্রচার চালাচ্ছি। প্রথমে দলের বাছাই করা কর্মীদের কাছে নেতৃত্ব রীতিমতো পার্টি ক্লাসের মাধ্যমে ৩৭০ ধারা কী, তা কেন প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তার সুফল কী কী ইত্যাদি জলের মতো বুঝিয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে দলীয় এই ব্যাখ্যাই সাধারণ নাগরিকদের কাছে জনসভার মাধ্যমে ২৬ আগস্ট থেকে আমরা তুলে ধরব। হঠাৎ পুলিস জানিয়েছে রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি পেতে ৪৮ ঘণ্টা আগে আবেদন করতে হবে। একথা আমাদের জানানো হয়েছে রবিবার। কিন্তু এই প্রকাশ্য সভা আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি। পুলিস হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। বিজেপি আইন মেনেই সভা করতে চায়। তার জন্য বিধি মেনেই আমরা আবেদনও করব। কিন্তু যে জায়গাগুলিতে প্রকাশ্য সভার প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে, সেসব ক্ষেত্রে এখন পিছিয়ে আসা কঠিন। তবে অন্য জায়গাগুলিতে আমরা ৪৮ ঘণ্টা আগেই আবেদন জানাব। যদি ষড়যন্ত্র করে বিজেপি’র কর্মসূচী বানচাল করার চেষ্টা করা হয়, তবে দলও প্রতিরোধের রাস্তায় হাঁটবে।
এই প্রসঙ্গে জেলা পুলিসের শীর্ষ কর্তারা তো বটেই এমনকী আইসি বা ওসি’রাও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারের পাশাপাশি এবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের ইতিবাচক ব্যাখ্যার মাধ্যমে জনসমর্থন পেতে উদ্যোগী হয়েছে বিজেপি। সম্প্রতি ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের সমর্থনে ইংলিশবাজারে একটি বাইক মিছিল বের করে বিজেপি। সেই মিছিল পুলিস নেতাজি মোড়ে আটকে দিলে উত্তেজনা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিস বাইক মিছিল এগোতে না দিলেও বিজেপি’র একটি প্রতিনিধি দলকে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তিতে মাল্যদানের অনুমতি দেয়। পুলিসের দাবি, বিজেপি ওই মিছিলের জন্য আগে থেকে কোনও অনুমতি নেয়নি। বিজেপি’র দাবি, তারা অনুমতি চাইতে গেলেও পুলিস পাত্তা দেয়নি।
এদিকে তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের বক্তব্য, উত্তেজনা ছড়িয়ে ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধিই বিজেলি’র লক্ষ্য। পুলিস কী করবে তা তাদের সিদ্ধান্ত। তবে এই কর্মসূচীর নামে অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা হলে তৃণমূল নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না।