কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মোরাদাবাদ রেল পুলিসের সাব ইন্সপেক্টর বাবু রাম বলেন, ওই নাবালিকার বাড়ি বিহারের নেপাল আন্তর্জাতিক সীমান সংলগ্ন বেতিয়া জেলার শিকারপুর থানা এলাকায়। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মায়ের সঙ্গে ট্রেনে করে সে দিল্লিতে যাচ্ছিল। তার বাবা সেখানে প্লাস্টার অব প্যারিসের মূর্তি তৈরি সঙ্গে যুক্ত। মোরাদাবাদ স্টেশনে পানীয় জল সংগ্রহ করার জন্য কিশোরী ট্রেন থেকে নামে। কিন্তু জল নিয়ে সে ফিরে আসার আগেই ট্রেনটি ছেড়ে দেয়। কীভাবে মা, বাবার কাছে ফিরে যাবে এই দুশ্চিন্তা নিয়ে মোরাদাবাদ স্টেশনে সে ঘোরাঘুরি করার সময়ই নারী পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পড়ে। মা, বাবা’র কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিরীহ ওই কিশোরীকে পাচারকারীরা নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায়। সেখান থেকেই পরে তাকে নিষিদ্ধপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়া হয় বলে পুলিস জানতে পারে। শেষপর্যন্ত ওই নাবালিকার ঠাঁই হয় মালদহ শহরের নিষিদ্ধপল্লিতে।
মোরাদাবাদ রেল পুলিসের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনেই উদ্ধার হওয়া কিশোরীকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশে যাওয়া হবে। সেখানে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নাবালিকাকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, মোরাদাবাদ রেল পুলিস আমাদের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছিল। সেই অনুযায়ী আমরা সাহায্য করেছি। প্রায় একবছর আগে নিখোঁজ হওয়া এক নাবালিকাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
এদিকে মেয়েকে হারিয়ে উদভ্রান্ত মা, বাবা দিল্লি রেল পুলিসের কাছে মিসিং ডায়েরি করে। দিল্লি রেল পুলিস বিষয়টি পাঠিয়ে দেয় মোরাদাবাদ রেল পুলিসের কাছে। এরপরেই তদন্ত শুরু হয়। উদ্ধার হওয়া ওই নাবালিকার বাবাও শুক্রবারের অভিযানের সময় পুলিসের সঙ্গে ছিলেন। তিনি মেয়েকে চিহ্নিত করেন।
তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি মেয়ের কাছ থেকে একটি ফোন পেয়ে জানতে পারি সে মালদহে রয়েছে। এরপরেই মোরাদাবাদ পুলিসের কাছে বিষয়টি জানিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে দেওয়ার আর্জি জানাই। সেই অনুযায়ী মোরাদাবাদ জিআরপি অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয়। শুক্রবার সকালে একদফা অভিযান হলেও পাওয়া যায়নি মেয়েকে। কিন্তু পুলিস হাল ছাড়েনি। রাতে মেয়েকে উদ্ধার করে।