পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রতুয়া-১ ব্লকের ২০ নম্বর মণ্ডল সভাপতি অশোক চৌধুরী বলেন, বহুদিন ধরেই ওই দুই বিজেপি নেতা এলাকায় দল বিরোধী কাজ করছিলেন। উজ্জ্বলা যোজনা থেকে প্রধানমন্ত্রী গৃহ নির্মাণ, বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে উপভোক্তাদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছিলেন। এরকম প্রচুর অভিযোগ পেয়েছি। এনিয়ে কিছুদিন আগে দলের জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছিলাম। তাদের নির্দেশে আমরা শুক্রবার সন্ধ্যায় বৈঠকে রেজ্যুলেশন করে সাধারণ সম্পাদক মণীন্দ্রনাথ মণ্ডল এবং অঞ্চল সভাপতি সঞ্জীব দাসকে দল থেকে বহিষ্কার করেছি। এই সিদ্ধান্তের কথা জেলা নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।
এবিষয়ে মনীন্দ্রনাথবাবু বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন। মিটিংয়ে কী হয়েছে আমাকে তা জানানো হয়নি। তবে তাদের এধরনের সিদ্ধান্ত বৈধ নয়। দল বিরোধী অভিযোগ থাকলে জেলা সিদ্ধান্ত নেবে। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক গোপাল সাহা বলেন, কী রেজ্যুলেশন হয়েছে তা বলতে পারব না। তবে কাউকে বহিষ্কার করার ক্ষমতা জেলা বা ব্লক স্তরের নেতৃত্বের নেই। দল বিরোধী কোনও কাজের অভিযোগ থাকলে তারা রেজ্যুলেশন করে আমাদের জানাতে পারেন। ওখানে কী হয়েছে তা আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি। মহানন্দ টোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির অঞ্চল সভাপতি সঞ্জীব দাস ওরফে বাপ্পা বলেন, বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে তা আমাকে জানানো হয়নি। দল বিরোধী কোনও কাজ আমরা করিনি।
রতুয়া-১ ব্লকের ২০ নম্বর মণ্ডল বিজেপিতে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই টাকা তোলা নিয়ে তোলপাড় চলছে। সম্প্রতি এনিয়ে প্রচুর অভিযোগ সামনে আসে। মণ্ডল সভাপতির দাবি, সাধারণ সম্পাদকের পদ ব্যবহার করে মনীন্দ্রবাবু উজ্জ্বলা যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের উপভোক্তাদের কাছ থেকে টাকা তুলেছেন। অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিলে তাঁরা দল বিরোধী কাজে যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও সদস্য সংগ্রহ অভিযান ঘিরে এলাকায় মিথ্যা প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। স্থানীয় মহানন্দা টোলা অঞ্চল বিজেপি সভাপতি তাঁর পদের অপব্যবহার করছেন। বিভিন্ন অভিযোগ এনে মণ্ডল সভাপতি সহ বিজেপির একাংশ বৈঠক করেছে। তাতে সর্বসম্মতিক্রমে রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে দুই বিজেপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এবিষয়ে তৃণমূলের মালদহ জেলা সহ সভাপতি সমর মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজেপিতে গোষ্ঠীকোন্দলের পাশাপাশি নেতারা যে দুর্নীতিতে যুক্ত এই ঘটনাই তা প্রমাণ করে দিচ্ছে। তাঁদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে না হলে এধরনের গুরুতর অভিযোগ উঠতে পারে না। তবে যে যাই করুক এসব মানুষ মেনে নেবে না।