রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার বলেন, আমরা শুধু লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করিনি, তার চেয়েও বেশি সদস্য গ্রহণ করেছি। আগামীতে সদস্য পদ চার লক্ষতে নিয়ে যাওয়া আমাদের লক্ষ্য। আমরা থেমে থাকব না। আরও সদস্য পদ গ্রহণের জন্য দ্রুত জোরদার কর্মসূচি নেওয়া হবে। তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই তারা পাগলের প্রলাপ বকছে। আমাদের তাতে কোনও যায় আসে না। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, আমাদের কাছে একাধিক অভিযোগ এসেছে। বিজেপির নেতা-কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজেদেরকে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী হিসাবে পরিচয় দিয়ে প্রকল্পের কথা বলে সাধারণ মানুষকে প্রতরণা করে সদস্য করিয়েছে। আগামীতে এনিয়ে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।
গত জুলাই থেকে বিজেপির তরফে রাজ্যের অন্যান্য জেলার সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুরেও সদস্য পদ গ্রহণ কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। এই কর্মসূচিতে প্রথম দিকে জেলা অনেক পিছিয়ে ছিল। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের ৬০০’র বেশি কর্মী এই কর্মসূচিতে কাজ করছেন। তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনলাইন অথবা অফ লাইনে সদস্য করণ করেছেন। তবে জেলা নেতৃত্বের কঠোর পরিশ্রমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সদস্য গ্রহণ করে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান দখল করে নজির গড়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। তবে আগামীতে ৪ লক্ষ সদস্যের নাম নথিভুক্ত করে রাজ্যের মধ্যে তারা নজির গড়তে চাইছে। যদিও বিজেপির এই সাফল্যকে কোনওভাবেই মানতে নারাজ তৃণমূল শিবির। তাদের অভিযোগ, এই সদস্য সংগ্রহের নামে গ্রামগঞ্জের মানুষকে প্রতারিত করা হয়েছে। বিজেপি কর্মীরা তাদের দলে নাম লেখাতে শুরু করেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপি কর্মীরা প্রথমেই দাবি করছেন তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকার থেকে সমীক্ষা করতে এসেছেন। এমনটা দাবি করে প্রথমে সেই ব্যক্তি কী করেন, সরকারের তরফে কী সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন তা বিস্তারিত শুনছেন। তাঁদের নাম ঠিকানা বিস্তারিত শুনে পুরো আবেদনপত্র ভরা হচ্ছে। আবেদনপত্র ভরে স্বাক্ষর করিয়ে বিজেপি কর্মীরা তা নিজেদের কাছে রেখে দিচ্ছেন। আবেদনের নীচের অংশ স্লিপ আকারে কেটে সংশ্লিষ্ট বাসিন্দাকে দেওয়া হচ্ছে। বিরোধীদের অভিযোগ, গ্রামাঞ্চলের মানুষকে বোকা বানিয়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযান করছে বিজেপি। তাদের অধিকাংশ কর্মীই মানুষের কাছে গিয়ে বিজেপি কর্মী বলে পরিচয় দিচ্ছেন না। যদিও বিষয়টি গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের দাবি, তৃণমূলের ঘর ভেঙে তছনছ করেছে বিজেপি। এত বিপুল সংখ্যাক মানুষের নাম নথিভুক্ত করতেই তৃণমূল শিবিরে কম্পন ধরেছে।