কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
হাতিঘিষা হাইস্কুলের টিচার ইন চার্জ পরেশচন্দ্র বর্মন বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতে কয়েক দিনের জন্য মৌখিক আদেশে আমি দায়িত্ব নিয়েছি। মিড ডে মিলের ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকই সবটা বলতে পারবেন। তবে এদিনের ডাল ঘন করা হয়েছে বলে পরিমাণ কমে গিয়েছে। বিডিও সাহেব আমাদের বলেছেন, ডালের পরিমাণ কম হয়েছে, আপনারা এর পরিমাণ বাড়িয়ে দেবেন। তিনি আরও বলেছেন, আমাদের মধ্যে যাতে একজন প্রতিদিন মিড ডে মিলে রান্না খাবার খেয়ে দেখি।
নকশালবাড়ির বিডিও বাপি ধর বলেন, এদিন হাতিঘিষার আদর্শ প্রাইমারি স্কুল ও হাতিঘিষা হাইস্কুলের মিড ডে মিল খাবারের মান যাচাই করতে আচমকা সেখানে যাই। এর পাশাপাশি স্কুলের পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা, রান্নাঘর, শৌচাগার সহ স্কুলের অন্যান্য পরিকাঠামোও ঘুরে দেখেছি। প্রতিটি স্কুলেই মিড ডে মিলের তালিকা দেওয়া আছে। এই তালিকা অনুযায়ী মিড ডে মিলে খাবার পরিবেশন করতে হবে। হাতিঘিষা হাইস্কুলে মিড ডে মিলে ছাত্রছাত্রীদের যে পরিমাণে ডাল দেওয়া দরকার ছিল তা দেওয়া হয়নি। আমরা পড়ুয়ার সংখ্যা অনুযায়ী স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলের জন্য অর্থ বরাদ্দ করি। আগামী দিনে যাতে এমনটা না হয় সেটা দেখার জন্য শিক্ষকদের বলেছি।
নকাশালবাড়ি ব্লকের স্কুলগুলির মিড ডে মিলের মান যাচাই করতেই এদিন বিডিও আচমকা অভিযানে বেরন। বেলা ১২টা নাগাদ হাতিঘিষার আদর্শ প্রাইমারি স্কুলে যান। সেখানে ঘণ্টা খানেক থেকে ১টা নাগাদ তিনি হাতিঘিষা হাইস্কুলের গিয়ে সেখানে রান্না করা খাবারের মান খতিয়ে দেখেন। বিডিও’র হঠাৎ অভিযানে দুই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। আদর্শ প্রাইমারি স্কুলের মিড ডে মিল নিয়ে বিডিও অসন্তোষ প্রকাশ না করলেও হাতিঘিষা হাইস্কুলে বেশ কিছু অনিয়ম তাঁর নজরে আসে। তিনি দেখেন, পড়ুয়াদের যে পরিমাণ খাবার দেওয়ার কথা তার থেকে কম খাবার বানানো হয়েছে।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাইমারি স্কুলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীর মাথাপিছু মিড ডে মিল খাবারের দৈনিক অনুদান রয়েছে ৪ টাকা ৪৮ পয়সা ও ১০০ গ্রাম করে চাল। হাইস্কুলের ক্ষেত্রে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর মিড ডে মিল খাবারের দৈনিক অনুদান রয়েছে ৬ টাকা ৭১ পয়সা ও মাথাপিছু ১৫০ গ্রাম চাল। ভাত, ডাল, শাকসব্জি সহ সপ্তাহে দু’দিন ডিম ও পনির দেওয়ার কথা। পাশাপাশি অনেক সময় রান্নার খরচ বাঁচিয়ে মাসে একবার মাংস মিড ডে মিলে স্কুলগুলি দেয়। এদিন হাতিঘিষা হাইস্কুলে মিড ডে মিলের খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডাল তৈরি না হওয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্কুলের শিক্ষকদের কাছে বিষয়টি বিডিও জানতে চান। পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকার পরেও কেন ঘাটতি সেনিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন।
হাতিঘিষা হাইস্কুলের পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর ১৪২ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য মাত্র তিন কেজি ডাল এদিন তৈরি করা হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল খুবই কম। এর পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে এক শিক্ষক ও এক শিক্ষাকর্মীকে মিড ডে মিল খাবার খেতে দেখে বিডিও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্কুল সূত্রেই জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী প্রায়ই পড়ুয়াদের জন্য রান্না খাবার খান।