বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শনিবার ভোর রাতের দিকে নয় মাইল বাজারে এই আগুন লাগে। আগুনে ন’টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পরে দোকান বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা রাতে সবাই বাড়িতে ঘুমোতে গিয়েছিলেন। ফলে শনিবার ভোর রাতের অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীরা কেউই কোনও সামগ্রী বাঁচাতে পারেননি। পুড়ে যাওয়া দোকানগুলির মধ্যে আছে হার্ডওয়ার, ফার্নিচার, সেলুন, দশকর্মা ভাণ্ডার, চা, ইলেকট্রনিক্স ও সাইকেলের দোকান।
আগুন লাগার খবর পেয়ে ভোর রাতেই ফালাকাটা থেকে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। দমকলের ইঞ্জিন আসার আগে ব্যবসায়ীরা অবশ্য বাজারের মধ্যে থাকা কুয়োয় পাম্পসেট লাগিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে দমকল কর্মীরা প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়। তবে কীভাবে এবং প্রথমে কোন দোকানে আগুন লেগেছিল দমকল কর্তৃপক্ষ বা ব্যবসায়ীরা তা কেউই বলতে পারেননি।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের হারাধন মল্লিক বলেন, দু’মাস আগে এই বাজারে ভোর রাতে আগুন লেগেছিল। শনিবার আবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটল সেই ভোর রাতেই। স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসায়ীরা এই ঘটনায় চক্রান্তের গন্ধ দেখছেন। তাই ব্যবসায়ীদের পুলিসের কাছে যাওয়ার পরমার্শ দিয়েছি। পুলিস খতিয়ে দেখুক কেন ভোর রাতেই বার বার আগুন লাগছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সহদেব শীল, বলাই দাস, আশাপূর্ণা বাড়ুই ও জয়দেব মণ্ডলরা বলেন, ভোর রাতে আগুন লাগায় আমরা কোনও কিছুই বাঁচাতে পারিনি। এখন আমাদের সংসার চলবে কীভাবে বুঝতে পারছি না।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, শনিবারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে ৫০ লক্ষ টাকার সামগ্রী পুড়ে গিয়েছে। সহদেববাবুরা বলেন, বার বার আগুন লাগার ঘটনার তদন্তের জন্য আমরা পুলিসের কাছে যাব। আমাদের দাবি, নিরাপত্তার স্বার্থে বাজারে রাতে সিভিক ভলান্টিয়ার রাখা হোক।