পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিস জানিয়েছে, ওই ঘটনা নিয়ে বিএসএফ একটি অভিযোগ জানিয়েছে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে কর্তব্যরত জওয়ানের উপর হামলা, সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়া, পাচার সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। জখম যুবকের পরিবারের লোকরা অবশ্য কোনও অভিযোগ করেনি। ফাঁসিদেওয়া থানার ওসি সুজিত লামা বলেন, বিএসএফের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ঘটনা নিয়ে নির্দিষ্ট মামলা রুজু করা হয়েছে। সমগ্র ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরে জখম যুবককে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম যুবকের বাড়ি স্থানীয় এলাকাতেই। তার আত্মীয়দের দাবি, বিনাকারণে ওই যুবককে গুলি করেছে বিএসএফ। যদিও বিএসএফ অভিযোগ মানতে নারাজ। পুলিসের কাছে বিএসএফ জানিয়েছে, গোরু পাচারকারীরা জওয়ানদের উপর হামলা চালায়। আত্মরক্ষার জন্য জওয়ানরা রাবার বুলেট চালালে ওই যুবক জখম হয়। সে গোরু পাচারকারীদের দলে ছিল। ঘটনাস্থল থেকে আটটি গোরু উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, বিএসএসের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রামে তল্লাশি চলছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির মধ্যে মুড়িখাওয়া অন্যতম। সেই গ্রামের পাশেই রয়েছে বাংলাদেশ। সংশ্লিষ্ট গ্রামে কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও পাশেই রয়েছে মহানন্দা নদী। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোররাতে বৃষ্টির সময় কিছু দুষ্কৃতী গোরুর পাল নিয়ে নদীর কাছে যায়। নদী দিয়ে বাংলাদেশে গোরু পাচারের চেষ্টা করে তারা। দুষ্কৃতীদের হাতে লাঠি, রড ও হাঁসুয়া ছিল। এই ঘটনা লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীদের বাঁধা দেন কর্তব্যরত জওয়ানরা। তখন জওয়ানদের উপর হামলা চালায় সশস্ত্র ওই দুষ্কৃতীরা। জওয়ানদের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের ধস্তাধস্তিও হয়। সেই সময় জওয়ানরা গুলি চালায়। তাতে ওই যুবক গুলিবিদ্ধ হলেও অন্য দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।