কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আক্রান্ত যুবক ঋষিকেশ রবিদাস বলেন, আমি ও আমার সহযোগী রাতে কাউন্সিলারের দপ্তরে তালা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎই এলাকার দুষ্কৃতী বলে পরিচিত কিছু যুবক আমাদের উপর চড়াও হয়। ওই যুবকরা এলাকায় বেআইনি মদের কারবার সহ একাধিক অসাধু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাদের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রের বাট দিয়ে আমাদের আঘাত করেছে। পাশাপাশি দুই রাউন্ড গুলিও ছুঁড়েছে। এরপর আমাদের বেধড়ক মারধর করে তারা পালিয়ে যায়। আমরা কাউন্সিলারের প্রতিনিধি হওয়ার পরও যখন আমাদের উপর এমন অত্যাচার চালানো হচ্ছে তখন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, আমাদের দুই দলীয় কর্মী দুষ্কৃতীনদের মারে জখম হয়েছেন। শহরের বুকে এধরনের ঘটনা ঘটতে দেওয়া যাবে না। আমি পুলিসকে এব্যাপারে জানিয়েছি। এনিয়ে জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমারকে একাধিকার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি। তবে রায়গঞ্জ থানার পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও গুলি চালানোর বিষয়ে স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যাদের নামে অভিযোগ হয়েছে তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার দীনদয়াল কল্যাণীর প্রতিনিধি হিসেবে ওয়ার্ড দেখাশোনা করেন ঋষিকেশ রবিদাস ও বিট্টু রবিদাস। গতকাল রাতে তাঁরা দু’জন ওয়ার্ড অফিসে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেসময় স্থানীয় কিছু মদ্যপ যুবক তাঁদের উপর চড়াও হয়। তাঁদেরকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে কোনও কারণ ছাড়াই মারধর শুরু করে। সেইসঙ্গে দু’রাউন্ড গুলিও চালায়। মারধরের ফলে দু’জনই জখম হন। এরপর আশপাশের বসিন্দারা ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। এই ঘটনায় বন্দর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাতের রাস্তায় দুষ্কৃতীদের অবাধ বিচরণ নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। গুলি চালানোর অভিযোগের কথা কানে যেতেই এলাকাবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এমনিতেই বন্দর এলাকা দুষ্কৃতী তাণ্ডবের জন্য কুখ্যাত। বর্তমানে তা কিছুদিনের জন্য শান্ত হলেও ফের অশান্ত হতে চলেছে কী বন্দর? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। বাসিন্দারা পুলিসি টহলদারির দাবি জানিয়েছেন।