কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
ব্যবসায়ীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে নানা জায়গায় একের পর সংঘর্ষ, মারপিট, গণ্ডগোল, বোমাবাজি, দোকান লুটপাট প্রভৃতির কারণে সামগ্রিকভাবে ২৫-৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। গণ্ডগোলের কারণে দিনহাটায় বাইরের থেকে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা কম আসছেন। সেই কারণেই এসব অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার।
দিনহাটার মহকুমার শাসক শেখ আনসার আহমেদ বলেন, নাজিরহাটে ২৫ আগস্ট নাগরিক কনভেনশন করা হবে। দিনহাটা মহকুমার অন্য জায়গাগুলিতে এই ধরনের কনভেশন বা শান্তিবৈঠক করার ব্যাপারে আমাদের চিন্তাভাবনা চলছে।
দিনহাটা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রানা গোস্বামী বলেন, দিনহাটার বিভিন্ন জায়গায় গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরবর্তী সময় থেকেই গণ্ডগোল, মারপিট, সংঘর্ষ চলছে। ব্যবসায়ীদের দোকান ভাঙচুর, দোকানে লুটপাট করার মতো ঘটনা ঘটছে। এসবের কারণে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৫-৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বাইরে থেকে ব্যবসায়ী, ক্রেতারা এখানে আতঙ্কে আসছেন না। বড় হাটগুলিতে পাইকাররা আসছেন না। আমরা প্রশাসনের ডাকা শান্তিবৈঠকে যোগ দিয়েছি। সেখানে সংঘর্ষ বন্ধের জন্য কিছু প্রস্তাব দিয়েছি। আগামী ২৫ আগস্ট নাজিরহাটে নাগরিক কনভেনশন ডেকেছে প্রশাসন। ব্যবসায়ীরা ওই কনভেনশনের সহযোগিতায় থাকবে। আমরা চাই এসব বন্ধ হোক।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দিনহাটার চৌধুরীহাট, সাহেবগঞ্জ, বামনহাট, বালিকা, নিগমনগর, পেটলা, ভেটাগুড়ি, আবুতারা, পোখরাবাড়ি, গোবরছড়া প্রভৃতি জায়গায় এর আগে বিভিন্ন কারণে গণ্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে। অনেক ক্ষেত্রেই বাজার এলাকায় এইসব গণ্ডগোল হয়েছে। সম্প্রতি বাসন্তীহাটে দোকানে ভাঙচুর, লুটপাট, ভেটাগুড়িতে দোকানে তালা মেরে দেওয়া, সিতাইতে দোকান ভাঙচুর, শালমারা, নাজিরহাট, বুড়িরহাট প্রভৃতি জায়গায় গণ্ডগোল, ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটছে। এই সব ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। দিনহাটায় বেশ ককেটি বড় হাট রয়েছে। সেই সব হাটে নির্দিষ্ট দিনগুলিতে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। পাট, তামাক, গবাদিপশু কেনাবেচার জন্য ওসব হাট বিখ্যাত। হাটে বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররা আসেন। কিন্তু এই সব গণ্ডগোলের কারণে পাইকার, ক্রেতাদের আসার সংখ্যা কমে গিয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে দিনহাটার বিভিন্ন এলাকায় গণ্ডগোল, সংঘর্ষের বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। এর প্রভাব ব্যবসার উপরে পড়ছে বলেও ব্যবসায়ী সমিতির দাবি।
দিন কয়েক আগেই দিনহাটার বাসন্তীহাটে দু’টি দোকানে ভাঙচুর ও তারমধ্যে একটি দোকানে লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরের দিন প্রতিবাদ জানিয়ে ব্যবসায়ীরা পথ অবরোধ করেছিলেন। এদিকে ওই রাতেই বাসন্তীহাটে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে ভাঙচুর, বোমা ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছিল। এর পরেই দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহর নেতৃত্বে সাহেবগঞ্জ থানায় অবস্থান বিক্ষোভ হয়। ওদিকে নাজিরহাটেও দিন কয়েক আগে গণ্ডগোল হয়। এই সব কিছু রুখতেই এবার প্রশাসন শান্তিবৈঠক, নাগরিক কনভেশনের ডাকার মতো উদ্যোগ নিয়েছে। যাতে আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনা দিনহাটায় বন্ধ হয়।