বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ইসলামপুর পুলিস জেলার এসপি সচিন মক্কর বলেন, দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এই চক্রের বাকিদের বিরুদ্ধেও অভিযান চলবে। যেখানে যেখানে তাদের অফিস আছে সেখানে অভিযান হবে। ধৃতদের এদিনই আদালতে পাঠানো হয়েছে। মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী ওয়াসিম পারভেজ বলেন,চাকুলিয়া থেকে ধৃতদের বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিস জানিয়েছে, ধৃত দম্পতি বিশ্ব মানবাধিকার কমিশনের নাম করে চাইল্ড ডেভেলপমেন্টের নামে টাকা তুলত। শিশুর নামে ৫৩০ টাকা জমা করলে ২৫ বছর পরে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা পাওয়া যাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভুয়ো কাগজপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে টাকা তুলত। ধৃত দম্পতি তোরিয়াল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই কাজ করত। প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় এমন এজেন্ট আছে বলে পুলিস জানাতে পেরেছে। প্রতি অঞ্চলের এজেন্টদের মনিটরিং করার জন্য ব্লক স্তরের কো-অর্ডিনেটরও আছে। ইসলামপুর ও বারাসতে তাদের অফিস আছে। এই চক্র কোন কোন এলাকায় কাজ করছে এবং এজেন্টদের পুলিস খুঁজছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের বোকা বানিয়ে ২৫ বছরের জন্য এককালীন টাকা তুলছিল। প্রায় দুই মাস থেকেই এই এলাকায় ব্যবসা রমরমিয়ে চলছিল। সরকারি কোনও অনুমতি কিংবা মানি মার্কেটিং কোম্পানির অনুমতি তাদের কাছে ছিল না। কিন্তু গ্রামের মানুষ এত সব বুঝতে পারেনি। তাই তারা শুধুমাত্র বিশ্বাস ও শিশুর আগামী দিনের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই টাকা জমা করেছে। কিন্তু বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই দেখা যাচ্ছে গ্রামের প্রচুর মানুষ প্রতারিত হয়েছে।
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, কয়েক বছর আগেই সারদা, রোজভ্যালি সহ একগুচ্ছ চিটফান্ড মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। সেই টাকা তারা ফেরত দেয়নি। এতে লক্ষ লক্ষ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ প্রতারিত হয়েছে। লাভের আশায় তারা আমানত গচ্ছিত রেখেছিল। কিন্তু সেসব টাকা জলের মতো ভেসে গিয়েছে। এই কাণ্ডের কিনারা এখনও কেন্দ্র ও রাজ্য কেউ করতে পারেনি। সাধারণ মানুষ তাঁদের আমানত খোয়া যাওয়ার দুঃখ ভুলতে পারেননি। তারমধ্যে ফের এলাকায় চিটফান্ডের হদিশে সকলেই উদ্বিগ্ন। তাদের দাবি, পুলিস প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিক।