বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
নিখোঁজ যুবকের নাম সুশীলকুমার দাস। তাঁর বন্ধু ধূপগুড়িরই বাসিন্দা সুমন দাস বলেন, সুশীল কর্মসূত্রে বেশ কয়েক বছর ধরে জয়পুরে থাকে। অন্যান্যবার ও স্ত্রীকে নিয়ে এলেও এবার একাই আসে। যেদিন সুশীল নিখোঁজ হয় সেদিন দুপুরে ও স্ত্রীকে বলেছিল খগেনহাটে একজনের বাড়িতে যাচ্ছে। ফিরতে দেরি হবে। বাড়ি ফিরে ফোন করবে। ওই দিন বিকেল ৫টা নাগাদ ওঁর স্ত্রী ওঁকে ফোন করলে মোবাইল ফোনটি সুইচড অফ পায়। আমাদের বিষয়টি জয়পুর থেকে ওঁর স্ত্রী জানালে আমরা বন্ধুর খোঁজ শুরু করি। ও যে মোটর বাইকটি নিয়ে বেরিয়েছিল পরের দিন বুধবার পুলিস সেটি রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার করে। ওই মোটর বাইকটি খগেনহাট ও জটেশ্বরের মাঝে কোনও এক জায়গা থেকে পুলিস পেয়েছে। তবে ওর মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ সুশীলবাবুর বাবা বৃদ্ধ সুধাংশুকুমার দাস বলেন, ছেলে আমার কাছে ফিরে আসুক আমি সেটাই চাই। এর আগেও ছেলে বহুবার ধূপগুড়িতে এসে শ্রমিক নিয়ে গিয়েছে। এবারে কি হল বুঝে উঠতে পারছি না। ওঁর স্ত্রী জয়পুর থেকে শনিবার ধূপগুড়িতে আসার জন্য ট্রেনে চাপবে বলে জানিয়েছে। আমাদের এক আত্মীয়ের মোটর বাইক নিয়ে ছেলে শ্রমিকের ব্যাপারে কথা বলতে ফালাকাটার খগেনহাটে একব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে যায়। মোটর বাইকটি রাস্তার ধারে পাওয়া গেলেও ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না।
ধূপগুড়ি থানার আইসি সুবীর কর্মকার বলেন, একটি মিসিং ডায়েরি হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছি। পরিবারটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
ধূপগুড়ি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের রায়পাড়ার বাসিন্দা সুশীলকুমার দাস গত মঙ্গলবার নিখোঁজ হয়ে যান। সুশীলবাবু তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে জয়পুরে থাকতেন। তাঁর বাড়ি ধূপগুড়ি শহরে হলেও তিনি সেখানে জরির কাজ করতেন। বছরে একবার এসে জয়পুরে শ্রমিক নিয়ে যেতেন। জয়পুরে শ্রমিক নিয়ে যেতে তিনি ১৬ আগস্ট ধূপগুড়িতে আসেন। নিখোঁজ যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ন’মাস তিনি জয়পুরে থাকতেন। আর তিনমাস ধূপগুড়িতে এসে পরিবার নিয়ে থাকতেন। সংসারে উপার্জনশীল ছেলের এভাবে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার পরিবারটি দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সুধাংশুবাবু ধূপগুড়ি থানায় মিসিং ডায়েরি করেন।