কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বিজেপি’র খগেন মুর্মু বলেন, জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা হয়। হাজার হাজার মানুষ এদিনটি পালন করেন। এদিন আমরাও জন্মাষ্টমী উৎসব পালন করতে পেরে খুব খুশি হয়েছি। এই বিশেষ দিনে শ্রীকৃষ্ণই আমাদের মিলিয়ে দিয়েছেন। দল-মত-জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে অনেকেই এদিন শোভাযাত্রায় হেঁটেছেন। আমরা চাই সমস্ত মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক।
পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের কার্তিক ঘোষ বলেন, এদিন জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে। রাজনৈতিক মতাদর্শের ভেদাভেদ ভুলে সকলে একসঙ্গে মিছিলে হেঁটেছি। এটাই ভারতবর্ষ এবং পশ্চিমবঙ্গের সম্প্রীতি এবং ঐক্য। এই শোভাযাত্রাকে রাজনীতির সঙ্গে মেলালে চলবে না। প্রচুর ভক্ত এদিন উৎসব পালন করেছেন। আমিও শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করেছি।
পুরাতন মালদহ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তৃণমূলের বিভূতিভূষণ ঘোষ বলেন, বিভিন্ন মতে বিশ্বাসী মানুষ এদিন এক জায়গায় এসে জন্মাষ্টমী পালন করেছেন। আমরা সকলে ভারতবর্ষের সম্প্রীতির ও ঐক্যের বার্তা দিতে চাইছি।
মালদহ বিধানসভার বিধায়ক কংগ্রেসের ভূপেন্দ্রনাথ হালদার বলেন, জন্মাষ্টমী সকল ধর্ম ও রাজনৈতিক দলের মানুষকে মিলিয়ে দিয়েছে এদিন। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে এদিনটিতে শ্রীকৃষ্ণের প্রেমের বাণী ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই প্রেমের বার্তা শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিনে মিলেমিশে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছেন।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে বিশাল সুসজ্জিত শোভাযাত্রা এদিন পুরাতন মালদহ শহরের পালপাড়ার রাধাগোবিন্দ মন্দির থেকে শুরু হয়। পাঁচ হাজারের বেশি ভক্ত এদিন জমায়েত করে শোভাযাত্রা বের করেন। অনেক কচিকাঁচা শ্রীকৃষ্ণের সাজে সেজে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের নেতা থেকে শুরু করে সেইসব দলের কর্মী-সমর্থকরাও এদিন জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রায় হাঁটেন। তাতে স্বাভাবিকভাবেই শোভাযাত্রার জৌলুস বেড়ে যায়। অনেকেই সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের একইসঙ্গে মিছিলে হাঁটতে দেখে অবাক হয়ে যান। শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর ব্যানার হাতে সাংসদ, বিধায়ক, চেয়ারম্যান, প্রাক্তন চেয়ারম্যান মিলেমিশে এক হয়ে যান। সকলে একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। একদল মুসলিম যুবক এদিন মির্জাপুরে ভক্তদের জলপান করান। সেই ঘটনাও সম্প্রীতির বার্তা বহন করে। জন্মাষ্টমীর মিছিলটি এদিন পুরাতন মালদহ শহরের পালপাড়া থেকে মির্জাপুর হয়ে সারদা কলোনিতে যায়। সেখান থেকে ফুটানি মোড় হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পথ পরিক্রমা করে আবার পালপাড়ার রাধাগোবিন্দ মন্দিরে এসে শেষ হয়।
এদিনের মিছিল নিয়ে নাগরিক মহলেও কৌতূহল তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও ভক্তরা বলেন, যেভাবে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারা তাদের দলীয় নীতি-আদর্শ উপেক্ষা করে জন্মাষ্টমী পালন করেছেন তাতে রাজনৈতিক মেলবন্ধন আরও দৃঢ় হয়েছে।