বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ভূস্বর্গ কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছে। এবার বিজেপি জনজাগরণ কর্মসূচির মাধ্যমে ৩৭০ ধারা বিলোপের পক্ষে যুক্তি দিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছতে চাইছে। কাশ্মীর ইস্যুতে কেন্দ্র সরকারের নীতির পক্ষে জনমত গড়ে তুলে বিরোধীদের জবাব দিতেই বিজেপির এই কর্মসূচি। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭-২৪ আগস্ট পর্যন্ত এই কর্মসূচির জন্য সময় ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ অভিযানের কারণে তারিখ পরিবর্তন করে ২১-২৬ তারিখ পর্যন্ত কর্মসূচির সময় স্থির হয়েছে। কিন্তু ২৪ তারিখ পেরিয়ে গেলেও ইসলামপুর মহকুমা এলাকায় বিজেপি এখনও পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে নামতে পারেনি। তবে বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, ২৫ তারিখ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেলায় আসবেন। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে ২৬-৩০ আগস্ট এই কর্মসূচি পালন করা হবে। বারবার এই তারিখ পরিবর্তনে রাজনৈতিক মহলে অবশ্য চর্চা শুরু হয়েছে।
উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, ৩৭০ ধারার পক্ষে বা বিপক্ষে এখনও জেলায় আমরা কোনও আন্দোলন করিনি। সেখানে কার্যত প্রতি ১০ জনে একজন আর্মি দিয়েছে সরকার। এর থেকেই বোঝা যায় ৩৭০ ধারা তুলে দিয়ে কাশ্মীরে শান্তি ফেরেনি। সিপিএমের ইসলামপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক বিকাশ দাস বলেন, সংসদে আলোচনা না করেই কেন্দ্র কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছে। আমরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিল করেছি। তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার বিষয়ে আমাদের দলের কোনও কর্মসূচি নেই। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন বলেন, ৩৭০ ধারা তুলে দেওযায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। আমরা জনজাগরণ কর্মসূচিতে সভা, পথসভার মাধ্যমে মানুষকে বোঝাতে চাই ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়াতে কী সুফল হয়েছে। এক সময় এর প্রয়োজন ছিল। এখন এর প্রয়োজন নেই। সবেমাত্র আমাদের সদস্য সংগ্রহ অভিযান শেষ হয়েছে। ২৫ তারিখ আমাদের সংসদ সদস্য তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী রায় জেলায় আসবেন। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে ২৬-৩০ আগস্ট জনজাগরণ কর্মসূচি পালন করা হবে।
সম্প্রতি কেন্দ্রে সরকার কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দিয়েছে তা নিয়ে গোটা দেশ তোলপাড় হয়েছে। ৬ আগস্ট উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় বিজেপি কাশ্মীর বিজয় উৎসব পালিন করে। সেদিন দলের নেতা কর্মীরা মিছিল করেছিল। এবার তারা মানুষকে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিতে মাঠে নামছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এর বিরোধিতা করেছে। কিন্তু বিজেপি এখনও পর্যন্ত কাউন্টার কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামেনি।