দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
আন্দোলনকারীরা বলেন, রাজ্য সরকার অতিথি শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেতন বৃদ্ধি করার এবং তাঁদেরকে ৬০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অতিথি শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু ওঁদের স্থায়ী করা নিয়ে আপত্তি রয়েছে। ওঁদের স্থায়ী করা হলে কলেজে অধ্যাপক্ষদের শূন্যপদ আর পূরণ করা হবে না। তাই অতিথি শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ প্রত্যাহারের দাবিতে এই আন্দোলনে নামা হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত দাবি পূরণ না হবে, ততদিন পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দিলীপ সরকার বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনার মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
কয়েকদিন আগে কলেজের অতিথি শিক্ষকদের স্থায়ী করণের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। ওই ঘটনার পরই রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়। ওই ছাত্রছাত্রীরা বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের প্রধান গেটের সামনে অস্থানে বসেন। ওই দিনই তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াচ অ্যান্ড ওয়াড বিভাগে তালা ঝুলিয়ে দেন। সংশ্লিষ্ট বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চাবি থাকে। ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই বিভাগ খুলতে গেলে উত্তেজনা ছড়ায়।
এদিনও সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াচ অ্যান্ড ওয়ার্ডের সামনে ছিলেন আন্দোলনকারীরা। অন্যান্য বিভাগের চাবি উদ্ধার করতে নির্দিষ্ট সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই ওয়ার্ডে তালা ভাঙার চেষ্টা করেন। এনিয়ে আন্দোলনকারীরা আপত্তি করে। তালা ভাঙতে না পেরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেখান থেকে সরে যায়। যার ফলে সেখানে উত্তেজনা ছড়ায়। স্বাভাবিক ভাবেই গতকালের মতো এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও ক্লাস রুমে তালা ঝুলছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা অফিসে ঢুকতে না পেড়ে দীর্ঘক্ষণ গাছ তলায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরে তাঁরা সেখান থেকে ফিরে যান। এদিনও প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিকেল পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ চলেছে। সেখানে প্রায় ৩০০ জনের মতো গবেষক পড়ুয়া হাজির ছিলেন।