বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক বছরে পুলিস ও বন দপ্তরের ৩০টি ঘটনায় অপরাধীদের চিহ্নিত করে দিয়েছে ডগ স্কোয়াড করিম। দেশের ৩০টি ওয়াইল্ড স্কোয়াডের ৬৫টি শিকারী কুকুরের গত এক বছরের গোয়েন্দা কাজের তালিকা বিচারে শীর্ষস্থান পেয়েছে করিম।
করিমের এই সাফল্যে স্বভাবতই উচ্ছ্বাসে ভাসছেন রাজ্য বন দপ্তরের শীর্ষ কর্তারা। ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের টেকানপুরে বিএসএফএর গোয়েন্দা কুকুর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আট মাস প্রশিক্ষণের পর করিম কাজে যোগ দেয় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে সেটির থাকার স্থায়ী ঠিকানা হয় রাজাভাতখাওয়া প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে।
করিমের প্রশিক্ষণের সঙ্গেই দুই বনকর্মী শুভেন্দুবিকাশ রায় ও জনি শর্মাকেও গোয়ালিয়রে এই প্রশিক্ষণ নিতে হয়। শুভেন্দুবিকাশবাবু ও জনিবাবু ছাড়া আর কারও কথা শোনে না করিম। তবে অসম্ভব চঞ্চল ও ক্ষিপ্রতার স্বভাব চরিত্রের জন্য করিমকে সামলাতে একেবারে হিমশিম খেতে হয় ডগ মাস্টার শুভেন্দুবিকাশবাবু ও জনিবাবুকে।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, করিম প্রত্যেক দিনের মেনুতে বরাদ্দ থাকে ২০০ গ্রাম চালের ভাত, ৩৫০ গ্রাম সবজি, এক লিটার দুধ, দু’টি ডিম, ৭৮০ গ্রাম পাঁঠার মাংস ও ২০০ গ্রাম ডালিয়া। সঙ্গে প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে জল ও গ্লুকোজও লাগে করিমের। এখনও দৈনিক তিন ঘণ্টা ধরে কঠোর শারীরিক নানা কসরত করে করিম। বন দপ্তর জানিয়েছে, ‘ব্যাক ট্র্যাক’ পদ্ধতির মাধ্যমে গন্ধ শুঁকে জঙ্গলের দুর্গম রাস্তায় যে কোনও চোরাশিকারের ঘটনায় চোরাশিকারীকে চিহ্নিত করতে করিম খুবই দক্ষ।
শুধু তাই নয়, যে কোনও জটিল খুন বা ডাকাতির মতো ঘটনার কিনারা করতে পুলিসেরও ডাক আসে করিমের কাছে। ফলে বন দপ্তর তো বটেই আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিসেরও এখন নয়নের মণি বন দপ্তরের এই গোয়েন্দা কুকুর। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা শুভংকর সেনগুপ্ত বলেন, করিমের জন্য আমরা সত্যি গর্বিত। সেটি দেশের সেরা গোয়েন্দা কুকুরের মর্যাদার স্বীকৃতি পুরস্কার পেয়েছে।
জেলার পুলিস সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠি বলেন, বন দপ্তরের গোয়েন্দা কুকুর হলেও করিম আমাদেরও মুশকিল আসান হয়ে উঠেছে। সত্যি করিমের দক্ষতার জবাব নেই। করিম আমাদেরও অনেক কেসের সমাধান করে দিয়েছে।