কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
কনভেনশনে সুব্রতবাবু বলেন, যাদের আচার-আচরণ ও ঔদ্ধত্য দেখলে মানুষ কিছুটা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়, তাদের কিছুটা দূরে রেখে যাঁরা পদ, টিকিট চান না তাঁদের সংঘবদ্ধ করুন। কেউ কেউ ভাবছেন, আমাদের তো বন্ধ করে দিয়েছে, ব্লক করে দিয়েছে, বাতিল করে দিয়েছে। এটা ভাবার কোনও কারণ নেই। সাংগঠনিক ভাবে দলকে একই সূত্রে বাঁধার জন্য রাজনৈতিক ভাবে দল বহু জেলাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই জেলাতেও সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মনে রাখবেন, যাঁদের বাদ দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের ভীত-সন্ত্রস্ত হওয়ার কারণ নেই। তাঁদের যদি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ও কর্মকাণ্ড থাকে তাহলে তাঁরা নিশ্চয় ফিরবেন।
এদিনের কনভেনশনে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, দলের জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, প্রাক্তন মন্ত্রী হিতেন বর্মন, বিধায়ক মিহির গোস্বামী, উদয়ন গুহ সহ এক ঝাঁক নেতা একে একে তাঁদের বক্তব্য রাখেন। এরপরেই সুব্রতবাবু বক্তৃতা শুরু করেন। বক্তৃতার শুরুতেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে উত্থান পর্ব কর্মীদের সামনে ব্যাখ্যা করেন। এরপর ধীরে ধীরে কেন্দ্র ও রাজ্যে দলের অবস্থান সর্ম্পকে কিছু আলোচনা করেন। সেই প্রসঙ্গ ধরেই কোচবিহার জেলায় দলের অবস্থান নিয়ে আলোচনায় আসেন।
জেলার পঞ্চায়েত সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাকে ধাক্কা দিক, দু’টো গালি দিক, আপনি পঞ্চায়েত অফিসে পৌঁছন। আলোচনা করে মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করুন। সহযোগিতার জন্য প্রয়োজনে কোর কমিটির সঙ্গে আলোচনা করুন।
তৃণমূল কংগ্রেসে অনেক সময়ই নতুন ও পুরানো কর্মীদের নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। সেই প্রসঙ্গে সুব্রতবাবু বলেন, প্রথম দিন থেকে আমি আছি, তাই আমি ভালো, আর পরে যাঁরা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তাঁরা খারাপ— এমনটা ভাববেন না। যাঁরা প্রথম দিন থেকে আছেন তাঁদের মধ্যেও কিছু খারাপ মানুষ আছেন। আর যাঁরা পরে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যেও কিছু ভালো মানুষ আছেন। তাই সমন্বয় করে রাজনৈতিক ভাবে দলে চলার কথা বলতে চাইছি।
বিজেপির নাম না করে সুব্রতবাবু বলেন, দিল্লিতে বসে একটা দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংগ্রাম ধ্বংস করে দেবে, ভারতবর্ষের সংসদীয় গণতন্ত্রে তা চলে না। যে কায়দায় আপনারা ২০১০-১১, সালে ২০১২ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে চলেছেন, মানুষের কাছে গিয়েছেন, সেই কায়দায় যদি ফিরতে পারেন তাহলেই সাফল্য ধরে রাখতে পারবেন। শুধু পেশী, প্রশাসন, অর্থ এবং সংবাদ মাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে যদি ক্ষমতায় আসা যেত তাহলে অনেক অর্থবান মানুষ না ঘুরে নেতা-মন্ত্রী-সান্ত্রী হয়ে যেতেন।
এদিকে লোকসভা নির্বাচনের পর দলের জেলা সভাপতির পরিবর্তন করা হয়েছিল। সেই সময় কমিটিগুলি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। সেই কমিটিগুলি গঠন হয়ে যাওয়ার পর আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে বিধানসভা ভিত্তিক সম্মেলন করা হবে বলে সুব্রতবাবু এদিন জানান।