কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য (পূর্ত) মুন্সি নুরুল ইসলাম অবশ্য বলেন, পুজোর সময় যেসব রাস্তা বেশি ব্যবহৃত হয় সেগুলিই প্রথম মেরামত করা হবে। এজন্য টেন্ডারও ডাকা হয়েছে। শহরের অন্যান্য রাস্তা পর্যায়ক্রমে মেরামত করা হবে।
শিলিগুড়ি শহরে ব্যস্ততম রাস্তাগুলির মধ্যে অরবিন্দপল্লি মেন রোড অন্যতম। শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত এই রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে আছে। সংশ্লিষ্ট রাস্তার কিছু অংশ ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। রাস্তায় পিচের বালাই নেই। গোটা রাস্তায় ছড়িয়ে রয়েছে ছোটো ছোটো পাথর। ২ নম্বর ওয়ার্ডে গুরুংবস্তির ভেতর দিয়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে গামী রাস্তার অবস্থাও একই। সংশ্লিষ্ট দু’টি ওয়ার্ডে গলির রাস্তাগুলির অবস্থা আরও শোচনীয়। তাছাড়া নবগ্রাম, গেটবাজার যাওয়ার শ্রীমা সরণী, বাগরাকোট, সুভাষপল্লি, হায়দারপাড়া, পাঞ্জাবিপাড়া, চম্পাসারি প্রভৃতি এলাকার রাস্তাও বেহাল হয়ে পড়েছে। ফলে সংশ্লিষ্ট রাস্তাগুলি দিয়ে যাতায়াত করার সময় বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এনিয়ে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বলেন, রাস্তাগুলি দিয়ে চলাচলের সময় সাইকেল, মোটর বাইক, টোটো, রিকশ নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। টোটো, রিকশয় অসহ্য ঝাঁকুনি সহ্য করতে হচ্ছে। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়ছে। হামেশাই কুচি পাথরে মোটর বাইক, সাইকেল ও টোটোর চাকায় বিঁধে হাওয়া চলে যাচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে রাস্তাগুলি চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের শিলিগুড়ি-২ নম্বর টাউন কমিটির সভাপতি বেদব্রত দত্ত বলেন, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে বাসিন্দাদের কাছ থেকে বেহাল রাস্তা নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ পেয়েছি। এই ব্যাপারে বামফ্রন্ট শাসিত পুরসভার বিরুদ্ধে আমরা শীঘ্রই আন্দোলনে নামাব।
শিলিগুড়ি পুরসভার অধীনে ৪৭টি ওয়ার্ড রয়েছে। এবার বর্ষায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার বর্ষায় প্রচুর রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮-১০ কোটি টাকা। এখন পুজোয় যেসব রাস্তা বেশি ব্যবহৃত হয়, জরুরি ভিত্তিতে সেগুলিই মেরামত করা হবে। সম্প্রতি এই ব্যাপারে শহরে সমীক্ষা চালিয়ে বেহাল রাস্তার একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। একইসঙ্গে ড্রেন, কালভার্ট, রাস্তার গার্ডওয়াল, সেতু প্রভৃতি মেরামতের পরিকল্পনা নিয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৮৪টি কাজের জন্য প্রায় ৫৩ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে ৬০ শতাংশই রাস্তা। এর মধ্যে ৪০টি রাস্তা পুজোর আগে মেরামত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেগুলি সুভাষপল্লি, রথখোলা, এনজেপি, চম্পাসারি প্রভৃতি এলাকায় অবস্থিত। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে দুর্গাপুজোও বেশি হয়। পরবর্তীতে আরও ২৫ কোটি টাকার কাজ করা হবে। তখন বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত কিছু রাস্তা মেরামত করা হবে। কিছু ম্যাস্টিক রাস্তা তৈরি করা হবে। পুজোর পর প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলির কাজে হাত দেওয়া হবে।
পুরসভার এক কর্তা বলেন, লোকসভা ভোট, বর্ষা সহ বিভিন্ন কারণে বেশ কয়েক মাস রাস্তা, নিকাশি নালা মেরামতির কাজ করা যায়নি। তাই বেহাল রাস্তা মেরামতি করতে কিছুটা সময় লাগছে। তবে সমস্ত কাজই নিজস্ব তহবিল থেকে করা হচ্ছে।