পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
যদিও তৃণমূলের জেলা নেতা তথা জেলা পরিষদ সদস্য পূর্ণেন্দু দে বলেন, এটি দুই পরিবারের মধ্যে গালাগালি করাকে কেন্দ্র করে গোলমালের একটি ঘটনা। এই ঘটনায় রাজনৈতিক কোনও বিষয় নেই। কর্ণজোড়া ফাঁড়ির ওসি পঙ্কজ সিনহা বলেন, দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে পরস্পরের বিরুদ্ধে চড়াও হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে কানের দুল টান দেওয়ায় এক মহিলার কান রক্তাক্ত হয়েছে। দু’পক্ষই অভিযোগ করেছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে। আক্রান্ত মহিলার স্বামী স্বাস্থ্যদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী সুকুমার দাস বলেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে আমি ও আমার স্ত্রী বিজেপির হয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেছি। বিজেপির প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ কর্মসূচিতে আমার স্ত্রী এলাকায় কাজ করছিলেন। গত মঙ্গলবার রাতে আচমকাই আমার বাড়ির সামনে প্রতিবেশী কয়েকজন হাঁসুয়া, লাঠি নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করছিল। আমি কিছু না বুঝে বাড়ির দরজা খুলতেই ওরা আমাকে খুন করতে চড়াও হয়। আমার চিৎকার শুনে আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে। তখন ওরা আমার স্ত্রীর উপর চড়াও হয়ে গলার, কানে, নাকের সোনার গয়না ছিনিয়ে নিয়ে হাঁসুয়া দিয়ে কানে কোপ দেয়। স্ত্রীর কান দিয়ে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। আমাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে হামলাকারী ওই তৃণমূল কর্মীরা পালিয়ে যায়। ওই রাতেই স্ত্রীকে বাসিন্দাদের সহায়তায় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কেটে যাওয়া কানে ছয়টি সেলাই পড়ে। বুধবার স্ত্রীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে এনে কর্ণজোড়া ফাঁড়িতে পুলিসে অভিযোগ জানিয়েছি। সেখানেও হামলাকারীরা আমাকে শাসিয়ে যায়। হামলাকারীরা এলাকায় এখনও আমাদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। একবার প্রাণে মারার চেষ্টা করে সফল না হলেও ফের ওরা হামলা চালাতে পারে বলে আতঙ্কে রয়েছি। যদিও হামলার ঘটনায় স্থানীয় মহিলারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরা বৃহস্পতিবার তদন্তকারী পুলিস অফিসারের কাছে হামলার ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
বিজেপি সমর্থক পরিবারের মহিলার কান কেটে নেওয়ার ঘটনায় এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। ওই এলাকার বাসিন্দা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতা তথা জেলা পরিষদ সদস্য পূর্ণেন্দু দে। যদিও তিনি বিষয়টিকে রাজনৈতিক হামলার ঘটনা বলে মানতে চাননি। তাঁর দাবি, দুই পরিবারের মধ্যে পুরনো কোনও বিরোধ থেকে মহিলাদের মধ্যে গোলমাল হতে পারে। কে কোথায় কোন রাজনৈতিক প্রচার করল, সেনিয়ে হামলা হিংসাকে আমরা কখনই মদত দিই না। বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ লাহিড়ি বলেন, অঞ্জনাদেবী নামে আমাদের দলের কর্মী এলাকায় প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। তাই শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মঙ্গলবার রাতে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। কান কেটে দিয়ে আতঙ্কের একটি পরিবেশ তৈরি করে। এভাবে হামলা করে কর্মীদের মনোবল দুর্বল করতে চাইছে তৃণমূল। যদিও ওই ঘটনায় পুলিস এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।