বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায় বলেন, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই আমার নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে। আমাকে কোনও নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী বিজেপিতে যোগদানের পর প্রশাসনের আধিকারিকরা আমার ফোন তুলছেন না। দেখা করতে চাইলেও আমার সঙ্গে কেউ দেখা করছেন না। জেলার শীর্ষ আধিকারিকদের একাধিকবার ফোন করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাঁরা ফোন ধরেন না। ধরলেও ব্যস্ত বলে ফোন কেটে দিচ্ছেন। এমনকী কোনও সরকারি অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। এমন দুর্ব্যবহার কোনওদিনও কাম্য নয়। এনিয়ে আমি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হব। এনিয়ে মন্তব্য জানতে জেলাশাসক নিখিল নির্মলকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি। জেলার পুলিস সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। ফোন তুললেও ব্যস্ত আছি বলে ফোন কেটে দেন।
বিপ্লব মিত্রের হাত ধরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের তৃণমূলের ১০ জন সদস্য সহ সভাধিপতি লিপিকা রায় বিজেপিতে যোগদান করেন। বিজেপিতে যোগদান করার পর সভাধিপতিকে কার্যত একঘরে করে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ তুলেছেন। লিপিকাদেবীর দাবি, জেলা পরিষদের উন্নয়ন থমকে রয়েছে। উন্নয়ন করতে চাইলেও কোনও সহযোগিতা করা হচ্ছে না। তিনি পদে থাকা সত্ত্বেও তাঁর ফোন আধিকারিকরা ধরছেন না। এমনকী তিনি জেলা পরিষদের একাধিক কাজ করতে চাইলে তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জেলা পরিষদের পদে থাকা সত্ত্বেও জেলার উন্নয়ন তাঁকে করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর আরও অভিযোগ, প্রশাসন শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। তাঁকে জেলার উন্নয়ন করতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। লিপিকাদেবীর দাবি, তিনি একাধিকবার নিরাপত্তার দাবি নিয়ে পুলিস প্রশাসনের কাছে দাবি জানালেও এখন নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকাদেবী বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় কার্যত প্রশাসনের তরফ থেকে তাঁকে একঘরে করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।