কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সমগ্র শিক্ষা মিশনের জেলা আধিকারিক প্রবীর কুমার পাত্র বলেন, বুধবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০১৮ সালের নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার দেওয়া হবে। নির্মল বিদ্যলয়ের জন্য বেশকিছু শর্ত আছে। এই পুরস্কারের জন্য অনেক স্কুল আবেদন করেছিল। আবেদনের ভিত্তিতে জেলার একটি টিম স্কুলগুলি পরিদর্শন করে। পরিদর্শনের রিপোর্টের ভিত্তিতে ১৪টি স্কুল নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার পাচ্ছে। সার্টিফিকেট, ট্রফি সহ ৫০০০ টাকা পুরস্কার হিসাবে স্কুলগুলিকে দেওয়া হবে। সমগ্র শিক্ষা মিশনের জেলা কো-অর্ডিনেটর সোমনাথ চক্রবর্তী বলেন, স্কুলের পরিচ্ছন্নতা, গার্ডেন, বাউন্ডারি, শৌচাগার, ডাস্টবিন, পঠনপাঠন সহ বিভিন্ন বিষয় দেখে স্কুল এই পুরস্কার পায়। কালিয়াগঞ্জ-১ সার্কেলের জিনগাঁও টিএন হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক তথা পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির জেলা নেতা ব্যোমকেশ বর্মন বলেন, আমরা সংগঠন থেকে শিক্ষকদের পেশাগত সমস্যা সমাধানে তাঁদের পাশে দাঁড়াই তেমনি শিক্ষার উৎকর্ষতা বৃদ্ধি, শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে স্কুলগুলিকে উৎসাহ দিই। এবার ১৪টি স্কুল নির্মল বিদ্যালয়ের পুরস্কার পাচ্ছে। তারমধ্যে আমাদের জিনগাঁও টিএন হাইস্কুলও পুরস্কার পাচ্ছে। আগামীতে জেলায় আরও বেশি সংখ্যক বিদ্যালয় যাতে নির্মলের তকমা পায় সেজন্য অন্য স্কুলগুলিকে উৎসাহিত করব।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত স্কুলগুলি হল রায়গঞ্জ সাউথ সার্কেলের ভুলকাই এফপি স্কুল, রায়গঞ্জ ইস্ট সার্কেলের পরধা এফপি স্কুল, চোপড়া সার্কেলের মোহনগছ এফপি স্কুল, কালিয়াগঞ্জ-১ সার্কেলের ফতেপুর জুনিয়র বেসিক স্কুল, ইসলামপুর সার্কেলের ইসলামপুর মিডিল এফপি স্কুল, ইটাহার সার্কেলের কোরপুর এফপি স্কুল, করণদিঘি ইস্ট সার্কেলের আলিপুর এফপি স্কুল, রায়গঞ্জ সদর সার্কেলের সাউথ দেবিনগর এফপি স্কুল, রায়গঞ্জ নর্থ সার্কেলের খোলসি এফপি স্কুল, করণদিঘি সার্কেলের রসাখওয়া এফপি স্কুল, কালিয়াগঞ্জ-১ সার্কেলের জিনগাঁও টিএন হাইস্কুল, ইটাহারের বানবোল হাইস্কুল, গোয়ালপোখরের শোলপাড়া হাইস্কুল ও রায়গঞ্জ নর্থের রামপুর ইন্দিরা হাইস্কুল। জেলার সমগ্র শিক্ষা অভিযান, জেলা শিক্ষা দপ্তর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক এবং জেলা পরিষদের মিশন নির্মল বাংলার প্রকল্পের আধিকারিকদের একটি টিম স্কুলগুলি পরিদর্শন করার পরে পুরস্কারের জন্য ১৪টি স্কুলকে মনোনীত করা হয়। স্কুলে শিশু বান্ধব পরিবেশ, কিচেন গার্ডেন, ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য পৃথক শৌচালয়, শৌচালায় ব্যবহারের পরে পড়ুয়ারা হাত সাবান দিয়ে ধুচ্ছে কিনা, খাবারের আগে ও পরে হাত সাবান দিয়ে ধুচ্ছে কিনা এসব দেখা হয়। পরিস্রুত পানীয় জল পরীক্ষার সার্টিফিকেট, বর্জ্য পদার্থ পৃথকীকরণ ডাস্টবিন, সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ, ডেঙ্গু সহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা কর্মসূচি, খেলাধুলার পরিবেশ, শ্রেণীকক্ষ সহ একাধিক বিষয় দেখে নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রশাসন আরও জানিয়েছে, পুরস্কারপ্রাপ্ত কয়েকটি স্কুলের নাম রাজ্যস্তরে শিশুমিত্র স্কুলের পুরস্কারের জন্য জেলা থেকে পাঠানো হবে। রাজ্য থেকে প্রতিনিধি পরিদর্শন করার পরে জেলায় দু’টি প্রাথমিক ও একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলকে শিশুমিত্র পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করবে। জেলায় ১৪৭২টি প্রাথমিক এবং ৩৬৮টি হাইস্কুল আছে। ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়েছে।