পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই আর্জি জানানোর পর সড়ক ও পরিবেশ মন্ত্রী নীতিন গাদকারির পরামর্শে গত ১৪ আগস্ট রোপওয়ে তৈরির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রাজাভাতখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বক্সা পাহাড়ে গিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের সংসদ সদস্য। কালচিনি ব্লকে বক্সা পাহাড়ের ১৩টি পাহাড়ি গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে এই রোপওয়ে নিয়ে কথা বলে সেদিন বক্সাতে রাতও কাটান তিনি। পরের দিন স্বাধীনতা দিবসে পতাকাও তোলেন।
রাজ্যকে এড়িয়ে গেরুয়া শিবিরের সংসদ সদস্যের বক্সায় রোপওয়ে তৈরির ভাবনার ইতিমধ্যেই বিরোধিতা করেছেন তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী।
দু’বছর আগে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও বক্সা পাহাড়ে যান। সেই সময়েও বক্সায় রোপওয়ে তৈরির বিষয়টি উঠে আসে। রবিবার পর্যটনমন্ত্রী গৌতমবাবু বলেন, চাইলেই বক্সায় রোপওয়ে তৈরি করা যায় না। আমরা বক্সায় মাটি পরীক্ষা করেছি, এলাকা সমীক্ষা করছি। এই কাজ শেষ না হলে এভাবে আগাম কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া যায় না।
সমতল থেকে ২০০০ ফুট উচ্চতায় বক্সা পাহাড়। অন্যদিকে সমতল সান্তলাবাড়ি থেকে বক্সা পাহাড়ের উচ্চতা ৯০০ ফুট। বিশেষজ্ঞদের দাবি, হিমালয়ের সিঞ্চুলা রেঞ্জে থাকা বক্সা পাহাড়ের মাটি ভঙ্গুর ও ধসপ্রবণ। বিষয়টির উল্লেখ করে রোভার অ্যান্ড মাউন্টেনিয়ার্স ক্লাবের সভাপতি সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আজ থেকে ১২ বছর আগে বক্সা পাহাড়ে এই রোপওয়ে তৈরির জন্য মাটি পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাতে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বক্সাতে রোপওয়ে তৈরি কোনওভাবেই সম্ভব নয়। বন ও পরিবেশ মন্ত্রকও বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের মধ্যে থাকা বক্সা পাহাড়ে এই কাজ করার অনুমতি দেবে না।
স্টেট ওয়াইল্ড লাইফ বোর্ডের সদস্য অনিমেষ বসু বলেন, হিমালয়ের সবচেয়ে দুর্বল ও ভঙ্গুর অংশে রয়েছে আলিপুরদুয়ারের বক্সা পাহাড়। কাজেই এখানে রোপওয়ে তৈরির আগে সবারই ভাবা উচিত।
এলাকার পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলির দাবি, বক্সা পাহাড়ের আশপাশে প্রতি বছর ধস নামছে। সান্তলাবাড়ি থেকে বক্সার লেপচাখা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় প্রতি বছর বর্ষায় ধস নামে। এই অবস্থায় পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলির দাবি, রোপওয়ের ভাবনা ত্যাগ করে সংসদ সদস্যের উচিত বর্ডার এরিয়া ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের অর্থে আন্তর্জাতিক সীমান্তে বক্সার বেহাল রাস্তাঘাট ও পরিস্রুত পানীয় জল পরিবেষার দিকে নজর দেওয়া।
জন বারলা অবশ্য বলেন, আমি রোপওয়ে নিয়ে কোনও রাজনীতি করতে চাইছি না। রাজ্য সরকার বক্সা নিয়ে এত দিন কিছু করেনি বলেই আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছি। এখন দেখা যাক কতটা কাজ হয়।