পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এব্যাপারে মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ধৃতরা মূলত বাহকের কাজ করত। এর পিছনে বড় কোনও চক্র রয়েছে। চক্রের পান্ডাদের খোঁজ শুরু হয়েছে। দ্রুত তারাও ধরা পড়বে বলে আমরা মনে করছি।
পুলিস এবং সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর সহ কয়েকটি থানা এলাকায় বেআইনি মাদকের কারবার বেড়ে গিয়েছে বলে সিআইডি জানতে পারে। সিআইডি’র কর্তারা সম্প্রতি বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনের ফোনে আড়ি পাতেন। তাদের কথোপকথন থেকেই মাদক পাচারের বিষয়টি তাদের গোচরে আসে। সিআইডি বিষয়টি মালদহ জেলা পুলিসকে জানায়। শনিবার দুপুর থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বালিয়াডাঙ্গা মোড়ে সাদা পোশাকের পুলিস ও সিআইডি’র আধিকারিকরা ওঁৎ পেতে বসে ছিলেন। ‘সোর্স’ মারফৎ ওই এলাকায় নুরুল এবং আব্দুলের গতিবিধি সম্পর্কে তাঁরা জানতে পারেন। দূর থেকে ইশারায় তাঁরা ওই দু’জনকে চিনিয়ে দেন। ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জেরা করে মাদক চক্র সম্পর্কে সিআইডি ও পুলিস বিস্তারিত জানার চেষ্টা চালাচ্ছে।
বর্তমানে অনেকেই মদ, গাঁজার পাশাপাশি মাদকের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছেন। মাদকের কারবারিরা যুবসমাজকে এব্যাপারে টার্গেট করছে। ছাত্রাবস্থা থেকেই মাদকের নেশা ধরানোর জন্য তারা রীতিমতো ছক কষে এগোয়। চক্রের চাঁইরা ‘বাহকদের’ মাধ্যমে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত মাদক পৌঁছে দেয়। হোস্টেল এবং মেসেও তারা মাদক সরবরাহ করে। একবার মাদকের নেশায় আসক্ত হলে তার কবল থেকে মুক্তি পাওয়া মুশকিল। অন্যদিকে, মাদক বিক্রির টাকায় কারবারিরা ফুলেফেঁপে ওঠে। ওই কারবার বন্ধ না হওয়ার পিছনে পুলিসি নিষ্ক্রিয়তা দায়ী বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ।
তিন সপ্তাহ আগে ইংলিশবাজার শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মহেশমাটি এলাকার বাসিন্দারা চার যুবককে মাদক বিক্রির সময় হাতেনাতে ধরে ফেলেন। দুই যুবক পালিয়ে গেলেও বাকি দু’জন গণধোলাইয়ের শিকার হয়। পাড়ার যুবকদের কাছে তারা ব্রাউন সুগার বিক্রি করছিল বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। ওই মাদক দ্রব্য সাদা প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়া ছিল বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। যুবকদের কাছ থেকে কয়েক প্যাকেট ব্রাউন সুগার উদ্ধার করে এলাকাবাসীরাই। তবে স্থানীয়দের কাছ থেকে পুলিস ওই মাদক উদ্ধার করতে পারেনি। ঘটনার দিন পুলিস পৌঁছানোর আগেই অভিযুক্ত দুই যুবক এলাকা থেকে চম্পট দেয়।
পুলিস সুপার অবশ্য বলেন, আন্তঃরাজ্য এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে আমরা লাগাতার পদক্ষেপ নিয়ে থাকি। আমাদের বিরুদ্ধে যে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে, তা ঠিক নয়। বর্তমানে মালদহ জেলায় ওই ধরনের কার্যকলাপে অনেকটাই রাশ টানা গিয়েছে। মাদক কারবারিদের অনেকেই বর্তমানে সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছে। তবে মাদকদ্রব্যের খুচরো বিক্রি সম্প্রতি বেশ বেড়েছে বলে খবর। পরপর কয়েকটি ঘটনা থেকে আমরা এই অনুমান করছি। জেলা পুলিসের বিশেষ টিম এব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে। জেলাজুড়ে মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে শীঘ্র আমরা অভিযান চালাব। তার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।